শ্বাসকষ্ট নিয়ে গুরুতর অসুস্থ বাম নেতা-চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম, ভর্তি হাসপাতালে
করোনা যুদ্ধে একেবারে প্রথম থেকে প্রত্যক্ষভাবে শামিল হয়েছিলেন। নিজের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে দিনরাত চিকিৎসার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন, নামমাত্র পারিশ্রমিকে। সেই বামপন্থী নেতা তথা জনপ্রিয় চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম (Dr. Fuad Halim) নিজেই এখন গুরুতর অসুস্থ। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন। টুইট করে তাঁর অসুস্থতার জানিয়েছেন স্ত্রী সাইরা হালিম। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’বার করোনা (Coronavirus) পরীক্ষা করা হয়েছে চিকিৎসকের। দু’বারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে শ্বাসকষ্ট না কমায় ফের সোয়াব টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। চরম উদ্বেগে পরিবার।
প্রকৃত অর্থেই জনগণের ডাক্তার। নামমাত্র খরচে নিজের ক্লিনিকে ডায়লিসিসের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন ডাক্তার ফুয়াদ হালিম। সম্পর্কে যিনি বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসিম আবদুল হালিমের পুত্র। করোনা সংক্রমণ এড়াতে দীর্ঘ লকডাউনে কোনও চিকিৎসক পাওয়া যাক বা না যাক, এক ডাকে বছর আটচল্লিশের এই ডাক্তারবাবুর সাহায্য পেয়েছেন সকলে। বিশেষত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রোগীরা। ফুয়াদ হালিম নিজে তাঁদের চিকিৎসা করেছেন, খাইয়ে দিয়েছেন ওষুধ। ফিজ একেবারে সাধ্যের মধ্যে। পেশার প্রতি ফুয়াদ হালিমের এই নিষ্ঠা সর্বজনবিদিত। তাই লকডাউনেও বিশ্রাম নয়, করোনা আবহেও কাজে ইতি নয়। বরং আরও বেশি করে চিকিৎসায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
কিন্তু অন্যকে সুস্থ করে তোলা চিকিৎসক এখন নিজেই গুরুতর অসুস্থ। মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন। দিন কয়েক আগে অসুস্থ বোধ করায় হোম আইসোলেশনে ছিলেন। করোনা পরীক্ষাও করান। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তা সত্ত্বেও শ্বাসকষ্ট না কমায় ভরতি হন হাসপাতালে। সেখানেও একবার পরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক্স রে, সিটি স্ক্যান-সহ যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে, তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে। এই অবস্থায় তাঁকে নিয়ে কিছুটা চিন্তিত চিকিৎসকরা। তবে তাঁদের আশ্বাস, আপাতত ডাক্তার ফুয়াদ হালিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। অনুরাগীদের প্রতি চিকিৎসকের স্ত্রী সাইরা হালিমের আবেদন, দ্রুত সুস্থতার জন্য যেন প্রার্থনা করেন তাঁরা।