বুকে জোর থাকলে ঘুরে আসুন মর্গান হাউস থেকে
পাহাড়ের কোলে পাথুরে দেওয়ালে ভরা এই ভৌতিক বাড়ি। নাম মর্গান হাউস। কালিম্পংয়ে গেলে এই জায়গাটিতে যেতে পারেন। তবে এখনে যাওয়ার জন্য মনে চাই বল। প্রাকৃতিক নিসর্গে ভরপুর এই জায়গাটিতে যেতে ভয় পান অনেকে।
কথিত আছে, এখানে থাকতেন মিসেস মর্গান। মৃত্যুর পর তাঁর আত্মা থেকে গিয়েছে এই বাড়িতেই। অবশ্য গা ছমছমে অনুভূতি পেতেই কিছু পর্যটক যান এই ভুতুড়ে বাড়িতে। মাঝেমধ্যেই পর্যটকদের হানা দেয় ভুত। গভীর রাতে সিকিউরিটি গার্ডরা দেখতে পান মিসেস মর্গানকে।
মিসেস মর্গানের স্বামীর ঘরে অদ্ভুত কিছু ঘটনার সাক্ষী থাকেন পর্যটকরাও। যেমন, বাথরুমের কল খুলে হঠাৎই জল পড়তে শুরু করে। বালতি ভর্তি হয়ে গেলে সেই জলের কল নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়! মধ্যরাতে গা থেকে কেউ চাদর টেনে নেয়! এটা কি শুধুই কাকতালীয়? এই সমস্ত অলৌকিক ঘটনার জন্যই বাড়িটি সম্পর্কে লোকের এতো আগ্রহ।
প্রায় ১০০ বছর আগে ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল এই বাড়ি। মর্গান হাউসের পেছনে রয়েছে ছোট ছোট কটেজ। ওইসব কটেজে রাত্রি যাপন হতে পারে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সেগুলো হানিমুন কটেজ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। জায়গাটি জুড়ে সারাক্ষণ ঝিঁঝি পোকার শব্দ শোনা যায়। গা ছমছম করে ওঠে।
কিভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে যেতে হলে বিমানে বাগডোগরা নামুন। রেলপথে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী যে কোনও ট্রেনে টিকিট কাটুন। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে কালিম্পঙের মর্গান হাউসে যাওয়া যায়।