‘তৃণমূলের কর্মচারীরা বিজেপিতে এসে কর্মকর্তা’, অর্জুন সিংকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
সামনে একুশের লড়াই। তার আগে ঘুটি সাজাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। কিন্তু যুদ্ধের প্রস্তুতির মাঝেই বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব যেন আরও প্রকট হয়ে উঠছে। যথাযোগ্য সম্মান, দলের কাজে স্বাধীনতা না পাওয়া নিয়ে দিল্লির বৈঠকে নালিশ করেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রাক্তন নেতা, বর্তমানের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Sing)। এই কথা কানে যাওয়ামাত্র বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”কে বলেছেন যে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না? যদি কেউ একথা বলে থাকেন, তাহলে বলতে হয় যে তৃণমূলের সামান্য কর্মী ছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েই কার্যকর্তা হয়েছেন। ভবিষ্যতেও যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন, তাঁরাও সম্মান পাবেন।” এরপরই তিনি তথ্য দেন যে অর্জুন সিংকে উত্তর কলকাতার পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্য থেকেই ফের স্পষ্ট পুরনো এবং নব্যের সংঘাত কিছুতেই মিটছে না।
বিজেপির একাংশের দাবি, দলের অনেক নেতাই বহুদিন ধরে ক্ষুব্ধ, তবে তা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সোমবার দিল্লির বৈঠকে সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশই ঘটিয়ে ফেলেছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। ওই দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগের আগমনই মুকুল রায়ের (Mukul Roy) হাত ধরে। যে মুকুল রায় একদা রাজ্যের শাসকদলের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সেনাপতি ছিলেন। সৌমিত্র খান, নিশীথ প্রামাণিক, অর্জুন সিংরা ছিলেন সেই সারিতে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে সেদিন বাবুল সুপ্রিয়র বাড়ির মধ্যাহ্ণভোজে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের অনুপস্থিতি অন্যরকম গুরুত্ব তৈরি করেছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।