রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর প্রস্তুতির মাঝেই অযোধ্যায় শুরু মসজিদ নির্মাণের তোড়জোড়
রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর প্রস্তুতির মাঝেই অযোধ্যায় শুরু মসজিদ নির্মাণের তোড়জোড়। বুধবার মসজিদ নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের নাম ঘোষণা করল সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতি জুফার আহমেদ ফারুকি জানিয়েছেন, নয়া ট্রাস্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্দো–ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন’। অযোধ্যার ধান্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমিতে এই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই মসজিদ নির্মাণ হবে। এই মর্মে ফারুকি বলেন, “ওই পাঁচ একর জমিতে মসজিদ নির্মাণ ছাড়াও একটি লাইব্রেরি ও হাসপাতাল তৈরির কাজ দেখাশোনা করবে ট্রাস্ট।” জানা গিয়েছে, ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান হবেন আহমেদ ফারুকি। ১৫ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডে ৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৬ জন সদস্যকে মনোনীত করা হবে। বেশ কয়েকবার টালবাহানর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জানায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ করবে তারা। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এই ধান্নিপুর গ্রাম। ওই গ্রামের ৬০ শতাংশ বাসিন্দাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। স্থানীয়দের মতে, গত ফেব্রুয়ারিতেই সরকারি আমলাদের মুখে তারা শুনেছিলেন এখানে মসজিদ তৈরি হবে।
এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ভূমিপুজোয় হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পরই মন্দির তৈরির প্রস্তুতির তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। রামের বিগ্রহ গোটা দেশ ঘোরানো হয়। সারা দেশ থেকে ভক্তরা ভিত গাঁথার ইঁট পাঠিয়েছেন। ৫ আগস্ট দুপুর সোয়া বারোটায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। তিনদিন ধরে চলবে রীতি-রেওয়াজ। তবে করোনা আবহে ২০০ জনই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকতে পারবেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে ১৫০ জনই আমন্ত্রিত। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশি, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ারদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। হাজির থাকার কথা অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। ভূমিপুজোয় হাজির থাকতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও।