জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

আপনার শিশুর আক্রমণাত্মক আচরণ সামলাতে চান? 

July 31, 2020 | 2 min read

এমন অনেক শিশু আছে যারা নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা অন্যদের ঠিকমতো বোঝাতে না পারলে, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগলে, বাবা-মার প্রতি রাগ বা অভিমান হলে অথবা তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনাকাঙ্খিত আচরণ করে। এসব ক্ষেত্রে শিশুকে ভালোমন্দ বুঝিয়ে বলুন, আচরণ পরিবর্তনের সুযোগ দিন। সে কোনও মানসিক চাপে আছে কি না, জানার চেষ্টা করুন।

দেখে শেখা

শিশু যতই রাগ করুক, চিৎকার করুক কখনোই তাকে খারাপ বলা, তার প্রতি রাগ দেখানো, গায়ে হাত তোলা যাবে না। জোরে ধমক না দিয়ে শিশুকে ইশারায় বোঝান আপনিও তার প্রতি রাগছেন। শিশু যখন বুঝতে পারবে আপনি নিজে রাগ নিয়ন্ত্রণ করছেন, তখন আপনাকে দেখে সেও বুঝতে পারবে কিকরে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

দ্রুত প্রতিক্রিয়া

শিশুকে যখনই রাগান্বিত হতে দেখবেন, তখনই তাকে আপনার প্রতিক্রিয়া জানান। ভাই-বোন বা খেলার সঙ্গী যে কারও সঙ্গেই শিশুকে যদি রাগ করতে দেখেন, তখনই তাকে বোঝান তার আচরণ সঠিক নয়। সম্ভব হলে অন্য শিশুর কাছ থেকে তাকে আলাদা রাখুন কিছু সময়ের জন্য। সে যেন বুঝতে পারে পরে এমন কিছু করলে তাকে সবার কাছ থেকে আলাদা হতে হবে।

শিশুর সঙ্গে কথা বলুন

শিশুর এমন আচরণ নিয়ে অবশ্যই তার সঙ্গে কথা বলুন। ঘটনার ৩০ মিনিট বা এক ঘণ্টা পর তাকে জিজ্ঞেস করুন কেন সে অন্য শিশুর প্রতি রেগে গেছিল। তাকে বোঝান, মাঝে মাঝে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু কখনোই অন্যকে শারীরিকভাবে আঘাত করে নয়। 

ভালো আচরণের জন্য পুরস্কার

শুধু খারাপ আচরণের জন্য শিশুকে বকুনি না দিয়ে মাঝে মাঝে তার ভালো আচরণের জন্যও তাকে পুরস্কৃত করুন।

দায়িত্ব নিতে শেখানো

শিশু যদি কোনও জিনিস নষ্ট করে বা এলোমেলো করে, তবে তাকেই সেটি গুছিয়ে নিতে শেখান। এতে তার মধ্যে দায়িত্ববোধ কাজ করবে। শিশু তার নিজ আচরণে দুঃখিত হচ্ছে কি না– সেটিও খেয়াল করুন।

ডিজিটাল মাধ্যমে সচেতন

কার্টুন, সিনেমা, সিরিজ দেখেও শিশু অনেক সময় চিৎকার বা মারামারি করা, ভয় দেখানো বিষয়গুলো শিখতে পারে। সে যখন ডিজিটাল কোনও কিছু ব্যবহার করবে, তখন নিশ্চিত করুন সে যেন এগুলো দেখে শুধু আনন্দ পায়, মোটেও আক্রমণাত্মক কোনো কিছু যেন না শেখে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#child, #behaviour

আরো দেখুন