সংকটে ঝাড়খণ্ড সরকার! ‘অসন্তুষ্ট’ প্রায় অর্ধেক কংগ্রেস বিধায়ক
রাজস্থানের পর এবার ঝাড়খণ্ড। বড়সড় অসন্তোষ কংগ্রেস শিবিরে। সূত্রের খবর, রাজ্যের অর্ধেক কংগ্রেস বিধায়ক হয় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন আর নাহয় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রামেশ্বর ওরাংয়ের ভুমিকায় অসন্তুষ্ট। এবং নিজেদের সেই ক্ষোভ একেবারেই গোপন করেননি কংগ্রেস নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) এবং রাজ্য সভাপতির রামেশ্বর ওরাংয়ের (Rameshwar Oraon) বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে গোপনে দিল্লিতেও উড়ে গিয়েছেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করেছেন ‘অসন্তুষ্ট’ বিধায়করা।
গতবছরই ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট। মোট ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় শাসক শিবির পায় ৪৭টি আসন। এর মধ্যে জেএমএম (JMM) একাই পায় ৩০ আসন। কংগ্রেস (Congress) পায় ১৬টি আসন এবং আরজেডি পায় ১টি আসন। বিজেপির দখলে যায় ২৫টি আসন। পরে অন্য দল থেকে ২ জন বিধায়ক যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস শিবিরে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই জোট শিবিরে অসন্তোষ শুরু হয়ে গেল। সুত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কাজে সন্তুষ্ট নন অন্তত ৮-৯ জন কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁদের দাবি, হেমন্তের এই সরকার পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের প্রতিচ্ছবি মাত্র। মানুষের সমস্যার কথা না শুনে সরকার চটকদারিতে বিশ্বাস রাখছে। এদের মধ্যে অসন্তোষ আছে দলের নেতাদের ভূমিকা নিয়েও। অনেকেরই দাবি, দলে উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন না তাঁরা।
এই ‘বিদ্রোহী’দের নেতৃত্বে আছেন জামতাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ইরফান আনসারি (Irfan Ansari)। এছাড়াও উমাশঙ্কর আকেকা, রাজেশ কাশ্যপের মতো বর্ষীয়ান নেতারাও অসন্তুষ্ট। আরও ছ’জন রয়েছেন এদের দলে। ইতিমধ্যেই আনসারির নেতৃত্বে এদের মধ্যে কয়েকজন দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভিযোগ জানানো। কিন্তু রাহুলের সাক্ষাৎ তাঁরা পাননি। তবে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব আহমেদ প্যাটেল। শোনা যাচ্ছে, এদের অসন্তোষের মূল কারণ, মন্ত্রিত্ব। রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা হওয়া সত্বেও ইরফান আনসারি মন্ত্রিত্ব পাননি। আবার রামেশ্বর ওরাং প্রদেশ সভাপতি হওয়া সত্বেও মন্ত্রীপদে বসে আছেন। এই নিয়েই জোট সংকট। সুযোগ বুঝে আসরে নেমেছে বিজেপিও। সূত্রের খবর, তাঁরা ইতিমধ্যেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। দ্রুত সমস্যা না মেটালে ঝাড়খণ্ডেও অদূর ভবিষ্যতে রাজস্থানের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।