খুলল জট, শুটিং ফ্লোরে ফিরলেন রাসমনি-কৃষ্ণকলিরা
শুক্রবার বেলা গড়াতেই টলিপাড়ায় ঘটেছিল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা! ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’, ‘কাদম্বিনী’ এবং ‘কৃষ্ণকলি’-সহ একাধিক সিরিয়ালের শুটিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। জি বাংলা এবং সান বাংলা- এই দুটি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে কাটতেই সেই সমস্যার জট খুলল। শুরু হল ধারাবাহিকের শুটিং। ফ্লোরে ফিরলেন ‘রাসমনি’, ‘কাদম্বিনী’, ‘কৃষ্ণকলি’রা।
শুক্রবার ফেডারেশনের তরফ থেকে হঠাৎ শুটিং বন্ধের নির্দেশ আসায় রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিল জি বাংলা এবং সান বাংলার চ্যানেল কর্তৃপক্ষরা। শুটিং বন্ধের আসল কারণটা ছিল ফেডারেশন এবং চ্যানেলের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদ। চ্যানেল কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছিলেন, অতিমারি আবহে শুটিং বন্ধ থাকায় রোজগারের কথা চিন্তা করে চ্যানেলের তরফ থেকে টেকনিশিয়ানদের এককালীন কিছু টাকা দেওয়ার কথা চ্যানেল নিজে থেকেই ঘোষণা করেছিল। যে সমস্ত টেকনিশিয়ান দৈনিক কাজের হিসেবে পারিশ্রমিক পেতেন, তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের সাহায্যের জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই উলটো সুর ধরেছিলেন টেকনিশিয়ানরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রতিশ্রুতিমতো সেই টাকা তাঁরা পাননি।
তবে শুক্রবার শুটিং বন্ধের পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয় চ্যানেল কর্ত-পক্ষের তরফ থেকে। প্রতিশ্রুতিমতো ইতিমধ্যেই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে টেকনিশিয়ানদের অ্যাকাউন্টে। ফলে শনিবার সকাল থেকেই আবার জোর কদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন যে এই ভেবে যে, শুটিং বন্ধ হওয়ায় আবার কি সেই পুরনো পর্ব দেখতে হবে? তবে সেই সংশয় আর থাকছে না।
অন্যদিকে ফেডারেশনের তরফ থেকে স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, শুটিং শুরু হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। রোজই তাঁদের আশ্বস্ত করা হত এই বলে যে- আজ টাকা আসবে। কিন্তু সেই টাকা আসেনি। তাই এবার টেকনিশিয়ানরাই একটা নির্দিষ্ট দিনের দাবি রেখেছেন চ্যানেলের কাছে। সেই দিনটা জানতে পারলেই আবার ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হবে। আপাতত সেসব সমস্যার সমাধান হয়েছে। টেকনিশিয়ানরা আবার কাজে ফিরেছেন বলেই জানা গেল সূত্রের খবরে।