গ্রহণের কুসংস্কার থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্রও

সূর্য গ্রহণ মানেই সাথে রয়েছে হাজার হাজার কুসংস্কার। সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ গ্রহণ কালে নানা কাজ কর্ম করেন যা কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে নানা শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে বহু বিখ্যাত মানুষ দেশকে কুসংস্কার মুক্ত করতে চেয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
গ্রহন লাগলে কি কি করতে হয়, কি কি করবেন না সেই সব খবরও ফলাও করে লেখা হয়। এক কথায় কু-সংস্কারের অ্যাডভারটাইজমেন্ট। এই বিষয়ে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন,
‘আমি ক্লাসে এত করিয়া ছাত্রদের পড়াইলাম, যে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়িয়া চন্দ্রগ্রহণ হয়। তাহারা তা পড়িল, লিখিল, নম্বর পাইল, পাস করিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হইল যখন আবার সত্যি সত্যি চন্দ্রগ্রহণ হইল তখন চন্দ্রকে রাহু গ্রাস করিয়াছে বলিয়া তাহারা ঢোল, করতাল, শঙ্খ লইয়া রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িল। ইহা এক আশ্চর্য ভারতবর্ষ।’
এর থেকেই বোঝা যায় বিজ্ঞানমনস্কতা এখনও ভারতের জনমানসে স্থান করে নিতে পারেনি। এটা আমাদের সমাজের বিফলতা।