রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কি পাবেন মুকুল দিল্লিতে! শুরু জল্পনা

August 2, 2020 | 2 min read

তিনি এখনও বিজেপিতেই। দিল্লি যাচ্ছেন দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে। আর তা নিয়েই কিনা রাজ্য বিজেপির অন্দরে উত্তেজনা চড়ছে। সোমবার দিলি যাচ্ছেন মুকুল রায়। থাকবেন কয়েক দিন। সূত্রের খবর, রাজধানীতে অমিত শাহ এবং বিজেপি নাড্ডার তাঁর বৈঠকের তোড়জোড় চলছে জোর কদমে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশও এ বিষয়ে সক্রিয়। দিল্লি থেকে মুকুল কিছু “আদায়’ করে ফিরতে পারেন কিনা, সে ভাবনাতেই উত্তেজনা রাজ্য বিজেপির সব গোষ্ঠীর।

২০১৭-র নভেম্বরে বিজেপিতে যোগদানের পর কলকাতায় ফিরে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে মুকুল ঘোষণা করেছিলেন, দিলীপ ঘোষই তাঁর ক্যাপ্টেন। কিন্তু এর পর জল গড়িয়েছে অনেক। ‘ক্যাপ্টেন’-এর নেতৃত্ব আর মানতে রাজি নন তিনি। ঘনিষ্ঠদের

মতে, মুকুলের পক্ষে কোনও ভাবেই দিলীপের নেতৃত্বে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। উনি চাইছেন এমন কোনও দায়িত্ব বা পদ, যেখানে দিলীপের
কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। গত লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে জেতানোর পরেও কেন তাঁকে যোগ্য সম্মান’ দেওয়া হচ্ছে না- এই প্রশ্ন তুলে বেশ কয়েক বার শীর্ষ নেতৃত্বের দরবারে হাজিরও হয়েছেন মুকুল-ঘনিষ্ঠরা। “আশা-নিরাশা”র দোলাচলে বেশ কয়েক মাস কাটিয়ে এ বার
তিনি তৈরি হয়েই দিল্লি যাচ্ছেন বলে ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য।

শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে কী চাইতে পারেন মুকুল?

ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতার কথায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যসভার সাংসদ বা সর্বভারতীয় স্তরে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। তবে দাদা একটা ঘনিষ্ঠ একবিজেপি নেতার কথায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যসভার সাংসদ বা সর্বভারতীয় স্তরে কোনও গুরত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। তবে দাদা একটা জিনিসই চান–বাংলায় বিধানসভা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব। আর এক ঘনিষ্ঠের বক্তব্য, ‘অমর সিংয়ের জায়গায় মুকুলদাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ভাবনা-চিন্তা চলছে। মুকুলদাকে ছাড়া বিজেপির বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’ মুকুল নিজে অবশ্য বলছেন, এ রকম কোনও উদ্দেশ্যই নেই। রাখি উৎসবের কারণেই নাকি তাঁর দিল্লি যাত্রা।

রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ-ঘনিষ্ঠরা অবশ্য মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত দিল্লি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে মুকুলকে। কেননা, দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তকে জেনেশুনে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাবেন না নাড্ডারা। এক বিজেপি নেতার কথায়, “মুকুলদাকে পদ দেওয়ার হলে আগেই দেওয়া হত। তা ছাড়া বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় সভাপতির অসীম ক্ষমতা। দিল্লি দিলেও রাজ্য সভাপতি দিলীপের অধীনেই কাজ করতে হবে।’ মুকুলের “দিল্লি-অভিযান’ নিয়ে স্বয়ং দিলীপের সংক্ষিপ্ততম মন্তব্য, “আমার কিছু জানা নেই।’ তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনিও নজর রাখছেন নিশ্চিতই। দুই গোষ্ঠীর বাইরে থাকা বিজেপি বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। অন্য দল থেকে আসা কারও পদপ্রাপ্তি

বিজেপিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। মুকুল অপেক্ষা করতে চাইছেন না। সেটাই আবার বিজেপির অন্দরে তাঁর উত্থানে মস্ত পাঁচিল হয়ে উঠতে পারে। উত্তর-পূর্ব ভারতের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনাথ সিংরা সঙ্ঘ পরিবারের বাইরে থেকে এসে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। যথা সময়ে বিজেপিতে যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। তবে বাংলার বিধানসভা ভোটে মুকুলের প্রয়োজনীয়তা বিলক্ষণ বোঝেন অমিত শাহরা। দলের কারও কারও মতে, লাঠি না ভেঙে সাপ মারতে পারেন অমিতরা। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও পদে না বসিয়েও মুকুলকে ভোট যুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#delhi, #Amit shah, #mukul roy

আরো দেখুন