রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

৬ ঘণ্টায় ভর্তি ১০০ করোনা রোগী, রেকর্ড রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের

August 3, 2020 | 2 min read

১৮০০-৩১৩-৪৪৪-২২২— করোনা রোগীদের সাহায্যে চালু স্বাস্থ্যদপ্তরের এই ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম মাত্র ছ’ঘণ্টায় ১০০ জন রোগীর ভর্তি সমস্যার নিষ্পত্তি করল। শনিবার সকাল ন’টা থেকে দুপুর তিনটের শিফটে কন্ট্রোল রুম এই রেকর্ড গড়েছে। শুরুর পর থেকে নির্দিষ্ট শিফটে রোগী ভর্তির যাবতীয় পরিসংখ্যান টপকে গিয়েছে শনিবারের পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্যদপ্তর এবং নবান্ন সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, চারদিকে যখন ভর্তি নিয়ে নাজেহাল হওয়ার নানা খবর শোনা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী বাড়ির আটতলায় ‘কোভিড ১৯ অ্যাডমিশন সেল’ বা ‘সেল ৪’-এর চিকিৎসকরা এত রোগীর চাপের মধ্যে অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুমের শুধু ভর্তি অংশটি এঁরাই সামলান। উল্লেখযোগ্যভাবে ডিজিও, সদ্য এমডি পাশ সুপি ডিউটির মেডিক্যাল অফিসার (এমও, সুপি) এমনকী চিকিৎসাশাস্ত্রের সর্বোচ্চ ডিগ্রির ডিএম ডাক্তাররা আছেন এই সেলে। টেলিকলার হিসেবে এখানে রয়েছেন বেশ কিছু আয়ুষ চিকিৎসকও।

শনিবার সকাল তিনটে থেকে ১০৫টি ভর্তির অনুরোধের ফোন পায় এই ‘সেল ৪’। তার মধ্যে ১০০টির ক্ষেত্রেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ভুল ফোন নম্বরের জন্য বাকি পাঁচটি ক্ষেত্রে কিছু করা যায়নি। করোনা পজিটিভ রোগীদের যথাক্রমে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট কোভিড হাসপাতাল, এম আর বাঙ্গুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে একটি বড় অংশই ছিলেন পুলিসকর্মী। প্রসঙ্গত, করোনা পর্বে প্রায় গোড়া থেকে চালু ছিল এই কন্ট্রোল রুম। যদিও অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে ১৬ জুলাই থেকে।

এদিকে, শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডের এক কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কলকাতা পুলিসের ১২০০ জনের বেশি কর্মী-অফিসার এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৯০০ জনের বেশিই সুস্থ হয়েছেন। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এদিকে, চিৎপুর থানার এএসআই তপনচন্দ্র কুমারের মৃত্যুর ঘটনার পর থানা জীবাণুমুক্তকরণের কাজ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সুখবর হল, রাজ্যের ৫২ হাজারের বেশি মানুষ করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন।

এদিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যে করোনা পরীক্ষায় গতি আনতে প্রত্যেকটি আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরিকে তিনটি শিফটেই ডিউটি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে কর্মরত টেকনোলজিস্ট টানা সাতদিন কাজের পর টানা সাতদিন ছুটি পাবেন না। তবে তাঁরা রুটিন অফ ডিউটির নিয়ম মেনে নিতে পারেন। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে নন করোনা রোগীরা যাতে কোনওভাবেই রক্তসঙ্কটে না পড়েন, তার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি মেনে রক্তদান শিবির বাড়ানোয় জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত লকডাউন না থাকা দিনগুলিতে শিবির করতে বলা হয়েছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #covid-19, #health department

আরো দেখুন