৫ আগস্ট খুলে যাচ্ছে জিম-যোগ সেন্টার, মানতে হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া গাইডলাইন
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে সেই মার্চ মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জিম ও যোগ সেন্টারগুলি। অবশেষে আনলক থ্রি (Unlock 3) পর্বে খুলছে তালা। ৫ আগস্ট থেকে ফের শরীরচর্চা করতে জিমে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তবে নিউ নর্মালে অবশ্যই মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়মকানুন। জিম কিংবা যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক? চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry) নয়া গাইডলাইন।
জিম কিংবা যোগ সেন্টারে যাওয়া মানেই তো একসঙ্গে একস্থানে অনেকে একত্রিত হওয়া। একই সরঞ্জামে একাধিক স্পর্শ। কিন্তু করোনা কালে তো অনেক বিষয়ই মাথায় রাখা জরুরি। শুধু স্টাফ নয়, যাঁরা শরীরচর্চা করতে যাচ্ছেন, তাঁদেরও মেনে চলতে হবে নিয়মাবলি। কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় থাকা জিম বা যোগ সেন্টার যদিও এখনও বন্ধই থাকবে। তবে স্পা, সওনা, স্টিম বাথ ও সুইমিং পুল এখনই আনলক করা হচ্ছে না। কেন্দ্রের দেওয়া নয়া গাইডলাইন হল এরকম:
১. ৬৫ বছরের উপর বয়স্ক ও ১০ বছরের নিচের বাচ্চা এবং গর্ভবতীদের বদ্ধস্থানের জিমে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
২. জিম কিংবা যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সারাক্ষণই ফেসশিল্ড কিংবা মাস্ক পরে থাকতে হবে। তবে শরীরচর্চার সময় যাতে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা না হয়, সেই জন্য একটি পাতলা মুখাবরণ (Visor) পরলেই চলবে।
৩. প্রত্যেককে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহারের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিজের স্বাস্থ্যের সমস্ত আপডেট দিতে হবে।
৪. জিম অথবা যোগা সেন্টারে প্রত্যেকের জন্য অন্তত ৪ মিটার জায়গা বরাদ্দ করতে হবে। জিমে ব্যবহৃত সরঞ্জামের মধ্যে ছ’ফুটের দূরত্ব থাকা আবশ্যক। আর সুযোগ মতো সেগুলিকে বদ্ধস্থান থেকে বের করে এনে বাইরে রাখতে হবে।
৫. জিমে ঢোকা কিংবা বেরনোর জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা চিহ্নিত করে দিতে হবে। সেখান দিতেই যেন প্রত্যেকে যাতায়াত করেন, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৬. এসির তাপমাত্রা সর্বদা ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে রাখা বাধ্যতামূলক। প্রয়োজনে এসি বন্ধ করে বাইরের হাওয়া আসতে দিতে হবে।
৭. প্রবেশ দ্বারের সামনে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। উপসর্গহীনরাই ঢোকার অনুমতি পাবেন।
৮. জিমের মধ্যেই কারও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে হবে। যেখানে বাকিরা ঢুকবেন না। সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি সাহায্য নিতে হবে।