পুরাণ থেকে ইতিহাস, রয়েছে রাখি বন্ধন শুরুর নানা গল্প
চলছে লকডাউন। তাই, অন্যান্যবারের মত সাত সকালে উঠে তড়িঘড়ি দাদা বা ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়েই অফিস-স্কুল-কলেজে দৌড়তে হবে না। আজকের পুরো দিনটা ভাই-বোনরা খুবই আনন্দ করবে।
কিন্তু, কবে থেকে বা কিভাবে শুরু হয়েছিল এই রাখিবন্ধন উৎসব? নানা মুনির নানা মত। কাহিনীও রয়েছে অনেক।
পৌরাণিক গল্প
১। যম ও যমুনা— যমুনা তাঁর ভাই যমের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন।
২। শ্রীকৃষ্ণ ও দ্রৌপদী— একবার কৃষ্ণের আঙুল কেটে গেলে, দ্রৌপদী তাঁর গায়ের কাপড় ছিঁড়ে তা বেঁধে দিয়েছিলেন কৃষ্ণের আঙুলে। বদলে কৃষ্ণ কথা দেন, যে কোনও বিপদেই তিনি দ্রৌপদীকে রক্ষা করবেন।
৩। লক্ষ্মী ও বানররাজ বালি— একবার এক হতদরিদ্র নারীর রূপ ধরে বালির কাছে আশ্রয় চান ধনদাত্রী দেবী লক্ষ্মী। বালি নিজের প্রাসাদের দরজা খুলে দেন তাঁর জন্য। খুশি হয়ে লক্ষ্মী, কাপড়ের টুকরো বেঁধে দেন বালির হাতে। দিনটি ছিল শ্রাবণ মাসের এক পূর্ণিমা।
৪। সন্তোষী মা— গণেশের দুই পুত্র, শুভ ও লাভ, এক সময় বায়না ধরে নিজেদের বোনের হাতে তারা রাখি পরতে চায়। উপায়ান্তর না দেখে, দুই স্ত্রী, ঋদ্ধি ও সিদ্ধির অন্তর থেকে নির্গত অগ্নি থেকে গণেশ সৃষ্টি করেন সন্তোষী মাকে।
ঐতিহাসিক গল্প
১। হুমায়ুন ও রানি কর্ণবতী— শত্রুর হাত থেকে নিজের রাজ্যকে বাঁচাতে, মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের কাছে সাহায্য চান মেওয়ারের রানি কর্ণবতী। সেই সময়ে তিনি একটি রাখিও পাঠান হুমায়ুনকে।
২। পুরু ও রোক্সানা— আলেকজান্ডার ও পুরুর যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন পুরু। কিন্তু ইতিহাস বলছে, আলেকজান্ডারের স্ত্রী রোক্সানা রাখি পাঠিয়েছিলেন পুরুকে। এবং তাঁর স্বামীকে হত্যা না করার আর্জিও জানিয়েছিলেন।