কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক বিমানে আসা যাত্রীদের
বিমানে আসা যাত্রীদের ১৫ দিন বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিয়মে ক্রমেই শিথিলতা এসেছিল। রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়েই এ ব্যাপারে আগের থেকে অনেক নমনীয় অবস্থান নিতে শুরু করে। সে ভাবে কোভিডের লক্ষণ না থাকলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক আর রাখেনি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যে ভাবে দিন দিন ফের সারা দেশে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র। জানিয়ে দিয়েছে, ফের বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম। নতুন নিয়মে সাত দিন থাকতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং সাত দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় উড়ান, উভয় ক্ষেত্রের জন্যই।
তবে এর ব্যতিক্রমও থাকছে। বিশেষ কারণে এই নিয়মের অন্যথা করা যাবে। তবে তা জানিয়ে দিতে হবে বিমানে চড়ার আগেই। পরিবারে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে, কোনও মহিলা অন্তঃসত্বা থাকলে, সংশ্লিষ্ট যাত্রী কোনও কঠিন অসুখ থাকলে অথবা ১০ বছরের ছোট শিশু সঙ্গে থাকলে। তবে এ সব কিছুই বিমানে ওঠার আগেই জানিয়ে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সকে। একইসঙ্গে, নয়া নিয়মে এ-ও বলা রয়েছে যে, যে সব যাত্রীরা কোয়ারেন্টাইনে যেতে চান না, তাঁদের যাত্রার ৯৬ ঘণ্টা আগে বা তার মধ্যে করা আরটি-পিসিআর রিপোর্ট এবং সেটা যে নেগেটিভ, তা দেখাতে হবে। যে সংস্থা থেকে পরীক্ষা করানো হচ্ছে বা যে রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে, তা যে ভারত সরকার দ্বারা অনুমোদিত এবং কোনও কারসাজি নেই, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট যাত্রীর। না হলে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে।
বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, “প্রথম দিকে এই নিয়ে কড়াকড়ি থাকলেও পরের দিকে তা শিথিল ছিল। তার সুযোগ নিয়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলেও থাকেননি। তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। এখন যে ভাবে কোভিড ছড়িয়ে পড়ছে এবং গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই সময়ে এ সব নিয়মকানুন কড়া ভাবে মেনে না চললে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার দায় এসে পড়বে বিমান পরিষেবার উপরে। তাতে আখেরে ক্ষতি বিমান শিল্পেরই।”