রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর দিনে ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে’র বার্তা দিলেন মমতা
অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই ধূমধাম করে রাম মন্দিরের ভূমি পূজন। করোনা আবহে বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঠিক এই সকালেই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে দেশের সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা তুলে ধরেছেন মমতা।
বুধবার সকালে ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান -একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান, মহান আমার হিন্দুস্তান! আমাদের দেশ তার চিরায়ত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, এবং আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত রাখব।’
এ দিকে, এই দিনেই ভূমি পূজনকে ঘিরে দীপাবলির সাজে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লখনউ পৌঁছন সকাল ১০-৩৫ মিনিটে। সেখান থেকেই ১০-৪০ মিনিটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা। অযোধ্যায় হনুমানগড়িতে পুজো দেওয়ার পর রাম জন্মভূমি পরিসরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। সেখানে প্রথমে রামলালার দর্শন করে বিশেষ পুজো। এরপর বৃক্ষরোপণ। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর মূল অনুষ্ঠান।
কলকাতা থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া লাল রঙের গাঁদাফুল দিয়েই অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর৷ ঘড়ির কাঁটা ১২টা ৪৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড হওয়া মাত্রই মন্ত্রপূত ইট স্থাপনার কথা৷ হাতে সময় মাত্র ৩২ সেকেন্ড! ১২টা ৪৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড বাজার আগেই সেরে ফেলতে হবে মন্দিরের ভিতের প্রথম ইট স্থাপনা পর্ব৷ কারণ, শাস্ত্রমতে এই ৩২ সেকেন্ডই স্থায়ী হবে সব থেকে বেশি শুভ ‘চক্র সুদর্শন মুহূর্ত’৷
গণেশপুজো দিয়ে ভূমিপূজন পর্বের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে সোমবারই। মঙ্গলবার সারাদিন ধরে হয়েছে রামার্চন পুজো৷ পুরোহিত সত্যনারায়ণ দাস জানিয়েছেন, রীতি মেনে চারটি পর্বে করা হয়েছে এই বিশেষ পুজো। ভূমিপূজন উপলক্ষে সারা দেশ থেকে অযোধ্যায় পৌঁছেছে ফুলের রাশি৷ পুরোহিতদের হিসেব অনুযায়ী, ভূমিপূজন স্থল ও তার আশপাশের দু’টি মঞ্চ সাজানোর জন্য ৪০০ কুইন্টাল ফুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৬০০ কিলোগ্রাম গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো হবে দু’টি মঞ্চ৷ ভূমিপূজন মঞ্চের গোটা এলাকা সোমবার থেকেই ঘিরে রেখেছে স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)৷ এসপিজির নিরাপত্তাবলয়ের পরেই থাকছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ সশস্ত্র বাহিনী৷ নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে প্রবল ভাবে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের কারণে এই বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যই হবেন ৪৫ বছরের কম বয়সের৷