এবার কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মায়ের কাছে পুজো দিতে পারবেন, ঘরে বসেই
এবার ঘরে বসেই কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে তারামায়ের কাছে নাম-গোত্র ধরে পুজো ও অঞ্জলি দিতে পারবেন ভক্তরা। সৌজন্যে সেবাইতদের ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। এই ব্যবস্থাপনায় অনেকেরই কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে মায়ের দর্শন ও পুজো দেওয়ার বাসনা পূরণ হবে বলে মনে করছে মন্দির কমিটি। তেমনি সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকছে না।
১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূল বৃক্ষের তলায় বামাখ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই বিশেষ এই তিথিতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় জমে। চলতি মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখে কৌশিকী অমাবস্যা তিথি। এমনিতেই ফিবছর মানুষের ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু, এবছর করোনা পরিস্থিতির জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম করা ঠিক হবে না বলে মন্দির কমিটিকে জানিয়ে দেয় টিআরডিএ। ফলে, ১২-২০ আগস্ট মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে সংক্রমণ দিন দিন বেড়ে চলায় তা রোধ করতে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে, সেবাইতরা মায়ের নিত্যসেবা করবেন। মন্দিরের উপর তারাপীঠে নির্ভর করে হোটেল ব্যবসা চলে। সংক্রমণ রোধে মন্দির কমিটির সিদ্ধান্তকে সহমত জানিয়ে হোটেলগুলিও বন্ধ থাকছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, করোনা পরিস্থিতির জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সেবাইত ছাড়া অন্য কারও মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু, কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে মায়ের কাছে পুজো অর্পণের জন্য অনেক আগে থেকেই ভক্তরা সংকল্প নিয়ে থাকেন। তাই তাঁরা যাতে নিরাশ না হন, সেজন্য ভক্তরা নিজ নিজ সেবাইতকে ফোন করে ও হোয়াটসঅ্যাপে নাম গোত্র পাঠিয়ে যাতে পুজো দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পুজোর প্রসাদ ও পুষ্প ডাকযোগে ভক্তদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভক্তরা সেই সেবাইতদের অ্যাকাউন্ট নম্বরে দক্ষিণা পাঠিয়ে দিতে পারেন। কেউ চাইলে মায়ের গভীর রাতের পুজোর স্বল্প সময়ের ভিডিও তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মন্দির কমিটির সদস্যরা জানান, কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে অনেকের মানসিক থাকে। তাছাড়া বিশেষ এই তিথিতে পুজো দিলে মোক্ষ লাভ হয়, এই আশায় অনেকে পুজো দেন। তাঁরা যাতে নিরাশ না হন সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।