অযোধ্যার রাম মন্দির কেমন দেখতে হবে?
গত বছরেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামলালার বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যা থেকে পরিস্কার হয়ে যায় যে সেখানে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরই নির্মাণ হবে। এই নির্মাণের দায়িত্বভার দেওয়া হয় কেন্দ্রের ওপর। শীর্ষ আদালতই সেই নির্দেশ দেয়। কিন্তু কেন্দ্র কিছু জানানোর আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির কেমন দেখতে হবে তার একটি মডেল সকলের সমানে তুলে ধরে। প্রয়াগরাজে চলতে থাকা মাঘ মেলাতেই এই মডেল সামনে আনে ভিএইচপি।
১৯৮৯ সালে প্রথমবারের জন্য রাম মন্দির তৈরীর জন্য রাম মন্দিরের একটি মডেল সামনে এনেছিল এই বিশ্ব হিন্দু পরিষদই। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে এবারও যে মডেল প্রয়াগরাজে সামনে আনা হল তা সেই ৩০ বছর আগেরই মডেলটি। হুবহু সেই মডেলেই তৈরী হবে রাম মন্দির বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। ১৯৮৯ সালের মডেলটি সামনে আনা হয়েছিল তদানীন্তন প্রয়াগের কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে। আর এবার আনা হয় অধুনা প্রয়াগরাজের মাঘ মেলায়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহসভাপতি চম্পত রাই বলেন, ১৯৮৯ সালে যে শিলাখণ্ডগুলি এই রাম মন্দির তৈরীর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল তা অযোধ্যায় তখন থেকেই রয়ে গেছে। সেই শিলাখণ্ড যে রাম মন্দিরের মডেলকে সামনে এনে তৈরী তাই এবার ব্যবহার হবে। শিলাখণ্ডগুলি যাতে ব্যবহার করা যায় সেজন্যই নতুন কোনও মডেল নয়, পুরনো মডেলই ধরে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গরু ও গঙ্গা ভিএইচপি-র পরিচয়। তাই এই ২টি বিষয়ের ওপর আলোচনাও বাড়ানো হবে। আজই সেই বুহু প্রতীক্ষিত মন্দিরের ভিতপুজোর দিন।
মন্দির জুড়ে মোট ২১২টি স্তম্ভ থাকবে। দুটি পর্যায়ে ১০৬টি করে স্তম্ভ। এর প্রায় অর্ধেক পিলার প্রস্তুত রয়েছে এবং অর্ধেক পিলার এখনও তৈরী হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুমোদিত নকশা অনুসারে, ছাদের উপরে একটি ‘শিখর’ থাকবে, যা এই পরিকাঠামোকে গ্র্যান্ড রাম মন্দিরের চেহারা দেবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত কাঠামোটি ১২৮ ফুট উঁচু হবে। এটি প্রস্থে ১৪০ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ২৭০ ফুট হবে। এই বিশাল কাঠামোটিকে অনন্য করে তুলতে কোনও ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই প্রস্তাবিত রামমন্দিরে ৫টি প্রবেশ পথ থাকবে। সিংহ দ্বার, নৃত্য মণ্ডপ, রান্ড মণ্ডপ, পূজা ঘর এবং ‘গর্ভ গৃহ’। রামলালার মূর্তিটি ওই গর্ভগৃহে রাখা হবে।
মন্দিরটির সম্পূর্ণ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১.৭৫ লক্ষ ঘনফুট বেলেপাথরের প্রয়োজন। ১৯৯০-এর প্রথম দিকে এই কাজ শুরুর পর অনেক কিছু করা হয়েছে, কিন্তু আরও বেলেপাথর, আরও খোদাই করা কাজ বাকি। পাথরে খোদাই করা এই মন্দির নির্মাণই এখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লক্ষ্য। সেইমতোই প্রস্তাব রেখেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।