মসজিদ উদ্বোধনে যেতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ, ক্ষমা চাইতে বলল অখিলেশ যাদব
উত্তরপ্রদেশে জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল। ভোটবাক্সে পাওনা গন্ডা বুঝে নিতে সংখ্যালঘু তোষণও এখানে মাত্রাতিরিক্ত। একইভাবে প্রবল, সংখ্যাগুরুকে নিয়ে রাজনীতির প্রবণতা। তাই এবার গেরুয়া শিবিরের ‘রাম মন্দির ব্রিগেড’কে টেক্কা দিতে অখিলেশ জাদবের তাশ অযোধ্যার (Ayodhya) মসজিদ। ক্ষমতা হারিয়ে ব্যাকফুটে থাকলেও এবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মসজিদ ইস্যুতে ক্ষমা চাইতে বলেছে সমাজবাদী পার্টি (সপা)।
গতকাল যোগী জানিয়েছিলেন, অযোধ্যায় মসজিদের উদ্বোধনে তিনি থাকবেন না। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গলায় খানিকটা পারদ চড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমাকে নিমন্ত্রণ করা হবে না। আমিও যাব না।” তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন যে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সবাই সমানভাবে পাবে। যোগীর এই মন্তব্যের জবাবে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, “রাজ্যের মানুষের কাছে যোগীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।” তবে এই বিষয়ে কংগ্রেস অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, রাম মন্দির (Ram Mandir) আবেগে বিজেপির ঝুলিতে ‘হিন্দু ভোট’ কেন্দ্রীভূত হবে বলেই আশঙ্কা করছে সপা। তাই মসজিদ ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মুসলিমদের নিজের দলে টানার চেষ্টা করছে তারা। আর এই দুই বিপরটি মেরুর মাঝখানে পড়ে দিশেহারা কংগ্রেস। বর্তমানের এসপার উসপার পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র বুলিতে তেমন কান দেওয়ার লোক নেই। বিগত লোকসভা নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নিষ্ফল ‘গঙ্গাযাত্রা’ যার প্রমাণ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অযোধ্যায় যে জমিতে রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মিত হচ্ছে, তাঁর দ্বিগুণ জমি মুসলিম পক্ষকে দেবে সরকার। সেই জমিতে নির্মিত হবে বাবরির বিকল্প মসজিদ। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (Sunni Central Waqf Board) ইতিমধ্যেই সরকারের দেওয়া জমি গ্রহণ করেছে এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে, ওই জমিতে যে শুধু মসজিদ নির্মাণ হবে তা না, তার পাশাপাশি একটি হাসপাতাল এবং পাঠাগার তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছে সুন্নি বোর্ড। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর পরই তোড়জোড় চলছে মসজিদের শিলান্যাসেরও।