দেশ বিভাগে ফিরে যান

প্লাজমা থেরাপিতে ঠেকানো যাচ্ছে না করোনায় মৃত্যুর হার, জানাল এইমস

August 7, 2020 | 2 min read

 করোনায় মৃত্যুর হার কমাতে পারছে না প্লাজমা থেরাপি, এমনটাই জানিয়েছেন এইমস-এর ডিরেক্টর। সাধারণ আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারলেও, সংকটজনক রোগীদের মৃত্যু কমাতে পারছে না প্লাজমা থেরাপি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ডেক্সামেথাসনের মতো ওষুধ ব্যবহার করা হলেও কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বাজারে এখনও আসেনি। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে প্লাজমা থেরাপি খুবই কার্যকরী বলে মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য়ে সংক্রামিতদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্লাজমা থেরাপি কী? কোনও করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার শরীর থেকে রক্তরস নিয়ে অন্য কোনও আক্রান্তের শরীরে দেওয়ার নামই হল প্লাজমা থেরাপি। এতে অপর করোনা আক্রান্তের দেহে সহজেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু প্লাজমা থেরাপি করোনায় মৃত্যুর হার কমাতে পারছে না, এমনটাই দেখা গিয়েছে ট্রায়ালে।

এইমস-এর ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত ৩০ জনের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপির সেরকম কোনও ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। থেরাপি প্রয়োগের পরও আক্রান্তদের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ফলে প্লাজমা থেরাপির কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে দেশে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়ছে। কোনওভাবেই সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর, জাইডাসের মতো দেশীয় সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর এর কোভ্যাকসিন ও জাইডাসের ক্যাডিলা দৌড়ে রয়েছে। তবে বাজারে কবে ভ্যাকসিন আসবে সেই উত্তর কারও জানা নেই। দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৩৬ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজার ৬৯৯ জনের। অ্য়াকটিভ কেস ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০১টি। তবে আশার কথা, এখনও পর্যন্ত ১৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #AIIMS, #plasma therapy

আরো দেখুন