করোনায় মৃত্যু প্রাণ কেড়েছে ১৯৬ জন ডাক্তারের, উদ্বিগ্ন আইএমএ
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশজুড়ে ১৯৬ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ চিকিৎসক। কোভিড পরিস্থিতিতে এই তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। প্রায় দু’শো জন চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএ। শনিবার তারা জানিয়েছে, ‘মৃতদের মধ্যে ১৭০ জনের বয়স ৫০ বছরের উপরে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ সাধারণ চিকিৎসক।’ তাই চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে চিকিৎসকদের এই সর্বভারতীয় সংগঠন।
দেশজুড়ে সংক্রমণের ধারা বজায় ছিল শনিবারও। এদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৫৩৭ জন। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬১১। এদিন মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কৃষিমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী। যোধপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মন্ত্রী। ট্যুইট করে মন্ত্রীর আর্জি, গত কয়েকদিনে তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা যেন করোনা পরীক্ষা করান।
এদিন সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৩৩ জনের। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪২,৫১৮ জনের। মৃত্যুহার কমে হয়েছে ২.০৩ শতাংশ। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৯০০ জন। সারা দেশে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৫ জন। সংক্রমণ বাড়লেও দেশবাসীকে স্বস্তি দিচ্ছে প্রতিদিনের সুস্থতার হার। ভারতে এখন সুস্থতার হার ৬৮.৩২ শতাংশ।
মৃত্যু হার কমা এবং রোগীর সেরে ওঠার জেরে দেশে কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে যত জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার ২৯.৬৪ শতাংশ সক্রিয় আক্রান্ত। সংখ্যার নিরিখে ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৮ জন। দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক। মৃত্যুর বিচারে মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। তারপর রয়েছে কর্ণাটক, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ। তবে, মহারাষ্ট্রের থানের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার দিন বেড়ে হয়েছে ৬৯।