রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ টানতে বিপুল ভর্তুকির ঘোষণা রাজ্য সরকারের
শিল্পে বিনিয়োগ টানতে ঢালাও ভর্তুকির পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। নতুন কারখানা খুললেই যন্ত্রাংশ কেনা সহ, মোট ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি মিলবে। মহিলা, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য। ছোট শিল্পকে বড় করার ক্ষেত্রেও এখন থেকে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ উৎসাহ ভাতা। ব্যঙ্কের ঋণের সুদে ৭০ শতাংশ অবধি ভর্তুকি প্রদানের কথা জানিয়েছে রাজ্য। ১৭ বছর পর আবার ভর্তুকির আওতায় আনা হল বটলিফ কারখানাগুলিকে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি উত্তরবঙ্গের শিল্প সংগঠনগুলি।
শেষ দুবছর রাজ্যে কোন শিল্পনীতি ছিল না। ২০১৮ তেই শেষ হয়েছিল বিগত শিল্প নীতির মেয়াদ। গত শুক্রবার নতুন নীতি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। ভর্তুকি প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাশ্রী’। এই নীতি কার্যকর থাকবে চলতি বছরের ১লা এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত।
উন্নত এবং পিছিয়ে পড়ার নিরিখে জেলাগুলিকে এ, বি, সি, ডি ও ই এই পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে জোন বি-তে আছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। সি-তে রয়েছে মালদা, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং শিলিগুড়ি পুরনিগম বাদে দার্জিলিঙের বাকি অংশ। দুই দিনাজপুরকে রাখা হয়েছে ডি-তে। রাজ্যের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে একমাত্র কোচবিহারকে জোন ই-তে রাখা হয়েছে।
এসজিএসটিতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য। জোন বি এবং সি-তে এসজিএসটির ৩০ শতাংশ ফেরত পাবে বিনিয়োগকারীরা। ডি এবং ই-তে ফেরতের পরিমাণ ৫০ শতাংশ।
জমির রেজিস্ট্রেশান ফি এবং স্ট্যাম্প ডিউটিতেও বড় ভর্তুকির ঘোষণা সরকারের। এমএসএমই- তে জোন এ-তে ২৫ শতাংশ, জোন বি-তে ৫০ শতাংশ, জোন সি-তে ৭৫ শতাংশ এবং জোন ডি-তে ১০০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য। মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বি,সি,ডি এবং ই জোনে ৭৫ শতাংশ ভর্তুকির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। বিদ্যুৎ মাশুলের ক্ষেত্রে জোন এ এবং বি-তে ইউনিট প্রতি ১ টাকা এবং জোন সি, ডি এবং ই-তে ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।