রাজ্যে জলদূষণ রুখতে নয়া প্রকল্প মমতার
এবার অত্যন্ত দূষিত বলে ঘোষিত হওয়া বাংলার ১৭টি নদীকে দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। গঙ্গা ছাড়া বাকি নদীগুলি হল, বিদ্যাধরী, মহানন্দা, চূর্ণী, দ্বারকা, গঙ্গা, দামোদর, জলঙ্গি, কাঁসি, মাথাভাঙা, বরাকর, দ্বারকেশ্বর, কালজানি, করোলা, ময়ূরাক্ষী, রূপনারায়ণ, শিলাবতী এবং তিস্তা।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন পরিবেশ আদালতের নির্দেশে এই সব নদী-তীরবর্তী শহরের নিকাশি ও জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রাজ্যের মোট ৩৩টি পুরসভার জঞ্জাল নিষ্কাশনের জন্য বায়োমাইনিংয়ের শুরু হবে। তার জন্য আলাদা করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
যে উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত কলকাতার আশপাশের বেশ কিছু শহরের সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি। সেই লক্ষ্যে শহরের নিকাশি খালগুলির সংস্কারের পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ শহরগুলিকে জঞ্জালমুক্ত করার কাজও একই সঙ্গে হবে। বিভিন্ন পুর এলাকায় অচিরেই মোট ২২টি নিকাশি নালা ও খাল সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এ রাজ্যে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কাজ যতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, আর কোনও রাজ্যে সেটা হয়নি। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কোনও পুর এলাকার জল আর সরাসরি গঙ্গায় পড়বে না। সব জায়গায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসে যাবে। আদিগঙ্গা সংস্কারের কাজও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করে ফেলতে চাইছি আমরা।’
জানা গিয়েছে, নিকাশি নালার দূষিত জল শোধনের পাশাপাশি নাব্যতা বাড়াতে নালা ও খালের পলি তোলা হবে। খালগুলিকে জবরদখল মুক্ত করা হবে। তৈরি হবে কমিউনিটি শৌচাগার। তারই রূপরেখা তৈরি করতে পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করা হবে।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন মোট ৩৪টি নিকাশি খাল ও নালার সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল আগেই। আরও ২২টি এরকম নিকাশি প্রণালী রয়েছে যার মাধ্যমে শহরের দূষিত জল গিয়ে মিশছে সরাসরি গঙ্গায়। সেগুলিরও সংস্কার করা হবে।