প্রয়াত সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ ইলিনা সেন
ছত্তিশগড়ে শ্রমিক এবং আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চিরকাল মনে রাখবে সমাজ। রবিবার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করলেন একনিষ্ঠ নেত্রী, অধ্যাপিকা, লেখিকা এবং ডা: বিনায়ক সেনের স্ত্রী ইলিনা সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াইয়ের অবসান হল আজ।
একজন নেতা এবং কর্মী হিসেবে ছত্তিশগড়ে খনি শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নগুলির প্রতিষ্ঠার জন্য এবং উপজাতির অধিকারের পক্ষে লড়াইকে এখনও মনে রেখেছে সমাজকর্মীরা। এছাড়াও নিজের এবং সমাজের লড়াই নিয়ে তিনি দুটি বইও লিখেছেন। ছত্তিশগড়: অ্যা পলিটিক্যাল মেমোয়ার এবং সুখবাসিন: অ্যা মাইগ্রেন্ট ওম্যান অফ ছত্তিশগড়। স্বামী বিনায়ক সেনকে পাশে নিয়ে সালওয়া জুডুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন এই অধ্যাপিকা। ছত্তিশগড়ে কোয়া কমান্ডো নামে একটি সিভিল নজরদারি গোষ্ঠীও স্থাপন করেছিলেন।
১৯৯০ সালে ছত্তিশগড়ের একটি নিম্ন আদালত নকশাল আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য এবং মাওবাদীদের রাজ্য যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে তার স্বামী ডা: বিনায়ক সেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী বলে প্রমাণিত হয়েছিল ডা: বিনায়ক সেন। স্বামীর এনজিওর হয়ে বহু বছর প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেছিলেন ইলিনা দেবী। পরবর্তীতে মহারাষ্ট্রের মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছিলেন।
ক্যান্সারের জেরে জরাজীর্ণ হয়েছিল শেষ জীবন। গণ আন্দোলন এবং জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি। রবিবার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।