এনআরএসে চালু হচ্ছে কোভিড হাসপাতাল, ১৮ আগস্ট থেকে
১৮ আগস্ট থেকে ১১০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল চালু হতে চলেছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। প্রধানত এখানকার চারতলা চেস্ট বাড়িতেই চালু হবে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা। ত্বক ও অর্থোপেডিক বিভাগের একাংশেও কিছু শয্যা থাকছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পর এ নিয়ে শহরের দ্বিতীয় কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কোভিড হাসপাতাল চালু হতে চলেছে। তবে এনআরএস-এ অন্যান্য নন করোনা পরিষেবা আগে যেমন ছিল, তেমনই চলবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজ্যের বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে পজিটিভ রোগীদের ডায়েটে পুষ্টিকর হাই প্রোটিন খাবারে জোর দিয়েছে সরকার। সরকারি হোক বা অধিগৃহীত বেসরকারি হাসপাতাল, রোগীদের জন্য ডায়েটখাতে দৈনিক খরচ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
এনআরএস এই টাকার মধ্যেই রোজ করোনা রোগীর পাতে মাছ এবং মুরগির মাংস বা পনির দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, ডায়েট সরবরাহকারী সংস্থা করোনা রোগীদের মধ্যাহ্নভোজনে রোজ মাছ দেবে বলে কথা দিয়েছে। নৈশাহারে রোজ থাকবে হয় মাংস, নয় পনির।
চোখ বোলানো যাক, কী ধরনের খাদ্য সরকার বরাদ্দ করেছে করোনা রোগীদের জন্য। ব্রেকফাস্টে রাখতে হবে পাউরুটি (চার পিস), ডিম (১টা), দুধ (২৫০ এমএল) ও কলা (১টি)। সপ্তাহের টানা সাতদিনই এই ব্রেকফাস্টে রোগীদের যাতে অরুচি না ধরে, সেজন্য এনআরএস প্রাতঃরাশে কোনওদিন কর্নফ্লেক্স, দুধ, ডিম, কলা ও কোনওদিন উপমা, ডিম ও কলা রাখতে বলেছে।
সরকারি নির্দেশ ছিল, পজিটিভ রোগীদের দুপুরের প্রাপ্য ভাত (১০০ গ্রাম), ডাল (৫০ গ্রাম), মরসুমি সব্জি ও মাছ বা মুরগির মাংসের ৮০-৯০ গ্রামের পিস। শেষ পাতে টক দই। এনআরএস-এর সিদ্ধান্ত, রোজ দুপুরে অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে আমিষ হিসেবে মাছ। বাড়তি সংযোজন উচ্ছেভাজা। রাতের খাবারে ভাত (১০০ গ্রাম), চাপাটি, ডাল (৫০ গ্রাম), মাছ বা মাংস (১০০ গ্রাম) রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। এনআরএস রোজ রাখতে বলেছে হয় মুরগির মাংস, নয় পনির। সরকারি তালিকায় না থাকলেও বিকেলে চা ও সঙ্গে চিঁড়েভাজা বা স্ন্যাকস রাখাও হাসপাতালেরই সংযোজন।
ওই সূত্র জানিয়েছে, খাবারের গাড়ি ওয়ার্ডে যাওয়ার আগে যে কোনও একটি খাবার তুলে স্বাদ নেবেন কর্তারা। খাবারযোগ্য মনে হলে তবেই পাঠানো হবে ওয়ার্ডে। নিম্নমানের হলে ডেকে পাঠানো হবে সরবরাহকারী সংস্থাকে।
হাসপাতালের চেস্ট বাড়িতে চালু হতে চলেছে এই করোনা হাসপাতাল। সোমবার গিয়ে দেখা গেল অন্তিম পর্যায়ের কাজকর্ম চলছে। ওয়ার্ড ফাঁকা করে রোগীদের মৌলালির স্টুডেন্টস হেলথ হোমে পাঠানোর কাজ হয়ে গিয়েছে।