করোনা রুখতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ু্য়ার ‘মিউকো বট’ তৈরী
লকডাউনে বাড়িতে বসেই একটি আধা স্বয়ংক্রিয় রোবট তৈরী করে সাড়া ফেললেন সোনারপুরের বাসিন্দা এক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। মাত্র ২০ বছর বয়সেই ওই পড়ুয়া এই রোবটটি তৈরী করেছেন। হাসপাতালে প্রথম সারির করোনা–যোদ্ধাদের সাহায্যে রোবটটি কার্যকর ভূমিকা নেবে বলেও দাবী ওই পড়ুয়ার। ওই রোবটের নাম দিয়েছেন ‘মিউকো বট’ অর্থাৎ ‘মাল্টি ইউটিলিটি কোভিড বট’।
তাঁর এই উদ্ভাবন রাজ্যে প্রথম বলেই দাবী ছাত্রের। হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীর বেডের কাছে না গিয়েও নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের সাহায্যে ওই রোবটটিকে চালিত করে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা খাবার তাঁর বেডে পৌঁছে দিতে পারবেন। চিকিৎসকেরাও রোগীর কাছে না গিয়ে চেম্বারে বসে বা বাড়িতে বসেও রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তাঁর সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন।
সল্টলেকের এক বেসরকারি কলেজের ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের নাম ঋষভ সিনহা। ঋষভ এই রোবটটি তৈরী করতে মাত্র দু’মাস সময় নিয়েছেন। ঋষভ জানান, যে কোনও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাহায্যে পরিচালিত করা যাবে রোবটটিকে। রোবটের ওপরের অংশে খাবার বা ওষুধ রাখার জায়গা রয়েছে।
রোবটির গায়ে জীবাণুমুক্ত করার স্প্রে সিস্টেম লাগানো রয়েছে। ফলে রোবট যেখানে যাবে সেখানেই জীবাণুনাশকও ছড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করবে। রোবটটিতে একটি লেড ডিসপ্লে লাগানো রয়েছে। যাতে ওয়াইফাই কানেকশন রয়েছে। ফলে বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে ওই কানেকশনের মাধ্যমে ‘ভিডিও চ্যাট’ করা যাবে। একাধিক মানুষ কনফারেন্সে যোগও দিতে পারবেন। তার জন্য সাউন্ড সিস্টেমও লাগানো রয়েছে রোবটটিতে।
শুধু তাই নয়, রোবটটির দুটি এলইডি চোখও রয়েছে। তার সামনে কোনও জিনিস পড়লে সে নিজে থেকেই থেমে যাবে। নিয়ন্ত্রণকারী মোবাইল ফোনে তা দেখা যাবে। রোবটটির গায়ে চার্জিং সিস্টেম, ব্যাটারি লেভেল শো করার জন্য ডিসপ্লে এবং স্যানিটাইজার ট্যাঙ্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই সোনারপুরের বিভিন্ন নার্সিংহোমে চিকিৎসকদের সামনে রোবটটির কার্যকারিতা দেখিয়েছেন ওই পড়ুয়া। তাঁর এই উদ্ভাবনের প্রশংসা করেছেন চিকিৎসকেরাও।