টপস থেকে বাদ পড়লেন স্বপ্না বর্মন
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক তাদের টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিমের (টপস) অধীনে যে ২৫৮ জন ক্রীড়াবিদের নাম সম্প্রতি প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে জায়গা হয়নি হেপ্টাথলনে এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ন স্বপ্না বর্মনের। এই দীর্ঘ তালিকায় নাম আছে বহু ছোটবড় অ্যাথলিটের। এঁদের মধ্যে দু-একজন আবার ইতিপূর্বে নিষিদ্ধ ড্রাগ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। অথচ বাদ পড়েছেন এমন একজন, যিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে হেপ্টাথলনের মতো কঠিন ইভেন্টে এশিয়ান গেমস থেকে সোনা নিয়ে এসেছেন। ব্যাপারটা সবাইকে এতটাই অবাক করেছে যে, বেশ কয়েজন কোচ নিজেদের নাম প্রকাশ্যে আনতে না চেয়ে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রক ও স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার(সাই)।
স্বপ্না নিজে এই ব্যাপারে বিশেষ মন্তব্য করতে না চাইলেও, একজন জাতীয় স্তরের কোচ বলেছেন, এর চেয়ে অবাক কাণ্ড আর কিছু হতে পারে না। গত তিন বছর ধরে স্বপ্না দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। অথচ তার নামটাই তালিকায় নেই। ওঁ যে শুধু এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছে তাই নয়, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেও রুপো নিয়ে ফিরেছে। কোন যুক্তিতে বাদ গেল তা আমি মোটেই বুঝতে পারছি না।
এই নিয়ে স্বপ্নার বক্তব্য, নাম নেই যখন, তখন আমি কী আর করতে পারি? আমি অত নেতিবাচকভাবে ব্যাপারটা দেখতে চাই না। আমি আরও পরিশ্রম করার চেষ্টা করব, যাতে আন্তর্জাতিক আসর থেকে পদক জিতে আনতে পারি। আসলে টপসের অধীনে থাকলে একজন অ্যাথলিট অনুশীলন এবং প্রস্তুতির জন্য যাবতীয় সুযোগসুবিধা এবং খরচ সরকারের তরফ থেকে পেয়ে থাকেন। স্বপ্না বর্তমানে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
তবে স্বপ্নাকে বাদ দেওয়ার পিছনে রহস্যটা কী তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ক্রীড়ামন্ত্রক ও সর্বভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। ফেডারেশনের বক্তব্য, তারা এই নিয়ে কিছুই জানে না, সরকার পক্ষ বলছে, যাবতীয় ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে।
তবে স্বপ্না না হয় বাদ গেলেন, কিন্তু রোহিত যাদবের মতো জ্যাভলিন থ্রোয়ার কীভাবে এই তালিকায় ঢুকে পড়লেন, তার কোনও সদুত্তর কিন্তু কারোর কাছেই নেই। বছর তিনেক আগে জুনিয়ার এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো পেয়েছিলেন রোহিত, তারপরই ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েন এবং এক বছরের জন্য সাসপেন্ড হন। সেই রোহিতকে কীভাবে এই টপসের তালিকায় রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।