কেন বিশ্বভারতী জর্জ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে?
অনেক বাঙালীর কাছেই দেবব্রত বিশ্বাসের গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের গায়কী আজও অনন্য। সে “যে রাতে মোর” হোক বা, “তোমার পুজার ছলে”, জর্জ বিশ্বাস সবসময় আত্মিকভাবে গানগুলি গেয়েছেন।
৭০এর দশকের প্রথমের দিকে প্রায় ফতোয়া জারি করে বিশ্বভারতী তাঁর গান রেকর্ড বন্ধ করে দেয়। অনেকে বলেন কিছু অন্য গায়কের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় তারা এই ষড়যন্ত্র করে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর মানসিক চাপ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৮০ সালের ১৮ই আগস্ট মাত্র ৬৯ বছর বয়সে মারা যান।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল জর্জদার জীবিত অবস্থায় তাঁর নিজের নামে রেকর্ডের সংখ্যা ছিল ১০০-র মত। কিন্তু, তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ভক্তদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে অন্তত ছশো নতুন গান প্রকাশ করা হয়। তাঁর জনপ্রিয়তা এততাই যে মৃত্যুর ৪০ বছর পরেও বাংলায় বেস্ট সেলারের তালিকায় তিনি আছেন। তাঁর গায়কী শুধু আলাদা ছিল, এমন না। তিনি প্রতিটি গানের অন্তর পর্যন্ত নিজে পৌঁছতেন এবং শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন।
তিনি অসাধারণ স্কেচ ও কার্টুন শিল্পীর পাশাপাশি দুটি বই লিখেছেন। ব্রাত্য জনের রুদ্ধ সঙ্গীত এবং অন্তরঙ্গ চীন। এই বইদুটি ১৯৭৮সালে প্রকাশিত হয় এবং তিনি রয়্যালটি দান করেন। কিছু সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন যেমন, কোমল গান্ধার, ছেঁড়া তার, ভুলি নাই ইত্যাদি। তিনি শুধু শিল্পী ছিলেন না, ছিলেন হাস্যরসে ভরা এক পরোপকারী ব্যক্তি।