লকডাউনের অজান্তেই এই বদলগুলো ঘটছে
করোনার কারণে বহুদিন ধরে চলল লকডাউন। আনলক পর্ব শুরু হলেও বিধিনিষেধ রয়েছে প্রচুর। করোনার কারণে আমাদের সবার জীবনে এসেছে ‘নিউ নর্মাল’। আর এর ফলে অজান্তেই কয়েকটি সুফল দেখা যাচ্ছে। জীবন সোজা পথে না চললেও, ঘুরপথেই মিলছে কিছু লাভ, যা অজান্তেই আপনার শরীরে ভালো প্রভাব ফেলছে।
ঘরোয়া খাবার
বাদ পড়ছে বাইরে খেতে যাওয়াও। ঘরে কম তেল-মশলায় রান্না হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার। ঘরের রান্না খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। নামীদামি সাপ্লিমেন্টের পিছনে আর খরচ করতে হবে না। খরচ কমবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে বলে অসুখ-বিসুখ কম হবে। কমবে ডাক্তারের প্রয়োজন ও স্বাস্থ্য বাবদ খরচ।
মাস্ক
মাস্ক বাঁচাবে ফ্লু, যক্ষা, ধুলো বা রেণু সংক্রান্ত পোলেন অ্যালার্জির হাত থেকে। সামনে বসে কেউ ধূমপান করছেন, অথচ ভদ্রতার খাতিরে উঠে যেতে পারছেন না বা বলতে পারছেন না কিছু। বসে বসে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ভয় নেই, মাস্ক এ বিপদ থেকেও রক্ষা করবে কিছুটা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে কমবে ড্রপলেট সংক্রমণের আশঙ্কা। এর মধ্যে সাধারণ ফ্লু থেকে যক্ষ্মার মতো জটিল অসুখও আছে।
সঞ্চয়
ক্লাব-পার্টি-সিনেমা হল-বেড়ানো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখবেন মাসের শেষে কিছু টাকা জমছে। বিশ্বজোড়া মন্দার বাজারে এই টাকা অনেক দরকারে লাগবে। নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস হয়ে গেলে শরীর যেমন সচল থাকবে, কাজের লোকের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও কমবে।
পরিচ্ছন্নতা
মুখ ঢাকা থাকলে পুরু করে সানস্ক্রিন মাখার আর প্রয়োজন নেই। সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবের হাত থেকে ত্বক এমনিই বাঁচবে। মেকআপ ও পার্লারের খরচও কমবে। তার হাত ধরে ত্বকও ভাল হবে। হাত ধোওয়ার অভ্যাস জারি থাকলে পেটের অসুখ কম হবে। অন্য সংক্রমণজনিত অসুখের আশঙ্কাও কমবে।
শরীরচর্চা
শরীরচর্চার অভ্যাস আজীবন বজায় থাকলে তা সুস্থ রাখবে আপনাকে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরনোর তাড়া না থাকায় কিছুটা সময় নিজেকে দিতে পারছেন অজান্তেই। সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের চেহারা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনলাইন যোগা, জিম ক্লাসেও ঢুকে পড়েছেন অনেকে। এটা কিন্তু লকডাউনে বাড়তি পাওনা। হয়তো পুরনো নর্ম্যালে আপনি সময়ই পাচ্ছিলেন না।