গত কয়েক বছরে বঙ্গে বেড়েছে গণেশ পুজার ধূম
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আর সেই পুজোর তালিকায় নবতম সংযোজন গণেশ পুজো। গত কয়েকবছর ধরে গণেশজী সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে উড়ে এসে বসেছেন এই বাংলাতেই। গণেশ পুজোর হিড়িক এখন গোটা বাংলায়। এর পিছনে মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাব যেমন আছে, তেমনই আছে বাঙালির সুপ্ত বিত্তবাসনাও।
কলকাতা শহরে দুর্গাপুজোর সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি। তবে শেষ কয়েক বছরে বিচার করলে, শারদোৎসবের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো। গত ছয়-সাত বছর আগেও বাঙালির শারদোৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হতো বিশ্বকর্মা পুজো থেকে। কিন্তু এখন সময় বদলে গণেশ চতুর্থী থেকেই দুর্গাপুজোর ঘণ্টা বেজে যায়।
অনেকে গণেশ পুজোর বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে বলছেন, বলিউডের ছবি বা টিভি সিরিয়ালে গণেশ পুজো দেখানো হয় বলেই বাঙালি গণেশ নিয়ে পড়েছে। আবার অনেকে বলছেন, রাজ্যে কলকারখানা বন্ধ। তাই বিশ্বকর্মা পুজোও সেই অর্থে হয় না। সেই সুযোগে পাড়ায় পাড়ায় গণেশ পুজো বেড়ে চলেছে।
কুমোরটুলির এক শিল্পীর হিসেব অনুযায়ী, আগে মেরে কেটে গণেশ বিক্রি হত ৬০ থেকে ৭০। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট নয় হাজারের কাছাকাছি। এমনকি এখন অনেক থিমের ঠাকুরও তৈরি হয়। গণেশ পুজো এত বেড়ে যাওয়াতে কুমোরটুলির শিল্পীদের রোজগারও বেড়েছে। এবছর অবশ্য করোনার কারণে উৎসবে ভাটা পড়েছে।
তবে, বাঙালি যে সিদ্ধিলাভের জন্যে সিদ্ধিদাতায় মজেছে, তা মানতেই হবে।