যে সব খাবার গরম করে খেলেই ক্ষতি
আমরা সময় বাঁচানোর জন্য একসাথে অনেকদিনের খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিই। পরে সেটা বারেবারে গরম করে খাই। কিন্তু কিছু খাবার বারবার গরম করে খাওয়া ক্ষতিকর। এতে শুধু পুষ্টিগুণই নষ্ট হয় না, খাবার বিষাক্তও হয়। সেক্ষেত্রে যে সব খাবার বারবার গরম করা যায় না, সেই সব খাবার এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাতাসের চলাচল ভালো।
দেখে নেওয়া যাক সেরকম কিছু খাবারের তালিকা যেগুলো বারবার গরম করে খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারেঃ
চা: চা একবার তৈরীর পর তা পুনরায় গরম করে খাওয়া উচিত নয়। কারণ, চায়ে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। তৈরী চা গরম করে খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
পোড়া তেল: অনেকেই রান্নার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেন। ওই তেল দিয়ে অন্য কোনও রান্না করেন। কিন্তু পোড়া তেল ফের গরম করে রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
আলুর তরকারি: পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাবার বারেবারে গরম করে খেলে এতে উপস্থিত উপকারী উপাদানগুলির কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে তা কোনও কাজেই লাগে না। এছাড়া পেট খারাপ হতে পারে এবং ফুড পয়জেনিং হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
মাশরুম: মাশরুম যেদিন রান্না করা হয় সেদিনই খেয়ে নেওয়া ভালো। উচ্চমাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় মাশরুম ফের গরম করা হলে প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়, যা পেটের জন্য ভালো নয়। এমনকি হৃদরোগ হতে পারে।
ভাত: ভাত রান্নার পর যেভাবেই রাখা হোক না কেন তা ধীরে ধীরে পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে। চালে স্পোরস নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা ব্যাকটেরিয়ায় রূপান্তরিত হয় এবং রান্নার পরও সেই ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। তাই ভাত রান্না করে রেখে দেওয়া বা পুনরায় গরম করে খাওয়া উভয়ই খারাপ। এতে ডায়ারিয়া ও বমি হতে পারে।
ডিম: এটা এমন খাবার যা পুনরায় উচ্চ তাপের সংস্পর্শে এলে বিষাক্ত হয়ে যায়। রান্না করা ডিম পুনরায় গরম করে খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
মুরগীর মাংস: মাশরুমের মতো মুরগী উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। একে আবার গরম করলে এতে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিনের কার্যকারিতার পরিবর্তন হয়। ফলে হজমের সমস্যা হয়। একান্তই গরম করে খাওয়ার দরকার হলে অল্প তাপমাত্রায় একটু সময় নিয়ে গরম করা উচিত।
পালং শাক: পালং শাকে উচ্চ মাত্রায় আয়রন ও নাইট্রেট থাকে। রান্না করা পালং শাক পুনরায় গরম করলে পুরোপুরি নাইট্রাইটে পরিণত হয়, যা খেলে শরীরে ক্যানসার কোষ তৈরী হতে পারে।
বিট: বিটও উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট সমৃদ্ধ সবজি। তবে রান্না করা বিট পুনরায় গরম করে খেলে পেটের অসুখ হতে পারে।
সেলারি বা ধনে গাছের ডাঁটা: সেলারিও উচ্চ মাত্রায় নাইট্রেট সমৃদ্ধ। সেলারি পুনরায় গরম করলে এর নাইট্রেট পুরোপুরি নাইট্রাইটে রূপান্তরিত হয়। শরীরে বেশী মাত্রায় নাইট্রাইট গেলে মেথিমোগ্লোবিনেমিয়ার ঝুঁকি তৈরী হয়।
শালগম: সাধারণত সুপ তৈরীর জন্য শালগম ব্যবহার করা হয়। তবে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট সমৃদ্ধ শালগম পুনরায় গরম করা হলে বিষাক্ত হতে পারে।