শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি, তবে ভেন্টিলেশনেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee)। বৃহস্পতিবার সেনা হাসপাতালের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। তবে এখনও তিনি ভেন্টিলেটরেই রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দিল্লির ইন্ডিয়ার আর্মিস রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল হসপিটাল বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছে, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। তাঁর ভাইটাল ও ক্লিনিক্যাল প্যারামিটারগুলি স্থিতিশীল অবস্থাতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত তাঁকে নজরদারিতে রাখছেন। এ কথা জানানোর পাশাপাশি হাসপাতালের তরফে এও জানানো হয় যে, এখনও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে ভেন্টিলেটরেই রাখা আছে।
গত ১০ অগস্ট থেকে দিল্লির সেনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে ভর্তির পর পরই তাঁর মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্ত বের করতে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। এরপরই গভীর কোমায় চলে যান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও ধরা পড়ে।
তার পর থেকেই প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে দেশবাসী। বুধবার সকালে ভারতরত্নের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশ্বস্ত করেন তাঁর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। টুইটে তিনি জানান, ‘আপনাদের শুভেচ্ছা এবং চিকিৎসকদের চেষ্টায় বাবা এখন স্থিতিশীল। ওঁর শারীরিক অবস্থাও (ভাইটাল প্যারামিটার্স) নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। বাবার সুস্থতা কামনার জন্য প্রার্থনা করতে আবেদন করব সবাইকে।’
তবে সেনা হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে বুধবার জানানো হয়, ফের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। জানানো হয়, ফুসফুসে সংক্রমণের কারণেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ৮৪ বছরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে এবং তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
গত শনিবার প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতিচারণ করে বাবাকে নিয়ে আবেগী একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লেখেন, ‘শৈশবে বাবা আর কাকা মিলে আমাদের পৈতৃক গ্রামে এই দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতেন। সেই সময় থেকে কোনও বছর স্বাধীনতা দিবস বাদ যায়নি যে, তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি। গত বছর বাড়িতে সেলিব্রেশনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করছি। সামনের বছরও তিনি এগুলো আবার করবেন এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। জয় হিন্দ।’