আরও ৪৫২ র্যাশন দোকান খোলার অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার
র্যাশন আরও সহজলভ্য করার ব্যবস্থা হচ্ছে বাংলায়। ঘরের কাছেই র্যাশন দোকান পাবেন সবাই। এজন্য রাজ্য সরকার আরও ৪৫২টি র্যাশন দোকান খোলার অনুমোদন দিল। বিভিন্ন জেলায় নতুন র্যাশন দোকানগুলি চালু হবে। ইতিমধ্যে খাদ্য দপ্তরের তরফে ওই দোকানগুলির ডিলারশিপের জন্য আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দোকানগুলো চালু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে বতর্মানে র্যাশন দোকানের সংখ্যা ১৮ হাজার। আরও ৪৫২টি নতুন র্যাশন দোকান হলে উপভোক্তাদের প্রচুর সুবিধা হবে। র্যাশন তুলতে কাউকে বেশি দূরে যেতে হবে না। কমর্সংস্থানের এই দুর্মূল্যের বাজারে অনেকেই র্যাশনের ডিলারশিপ পেতে আগ্রহী হবেন। কিন্তু এই লাইসেন্স পেতে কী কী লাগবে? অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, কারও ৬০০ বর্গফুটের একটা গুদাম এবং ১ লাখ টাকা মূলধন ধন থাকলেই হবে। তাহলেই তিনি র্যাশন দোকানের ডিলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। রাজ্যে বতর্মানে র্যাশন কাডের্র সংখ্যা ৯ কোটি ৮২ লাখ। নতুন র্যাশন কাডের্র জন্য আবেদন গ্রহণ চলছে। নতুন র্যাশন দোকানগুলো চালু হলে গ্রাহকদের সমানভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। নতনু র্যাশন দোকানের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বেশ কিছু পড়বে।
বিশ্বম্ভরবাবু জানিয়েছেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে দিয়ে দেশব্যাপী একটা সমীক্ষা করিয়েছেন। র্যাশন দোকানগুলোতে কত কার্ড রয়েছে, কত টাকা ডিলার কমিশন হিসাবে পান ইত্যাদি সবকিছু ওই সমীক্ষায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। ৫৯৪ পাতার ওই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা পড়েছে। সেই রিপোর্টে র্যাশন ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। অবিলম্বে ওই বাড়তি কমিশন চালু করার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন বিশ্বম্ভর বসু।
আমপানের পর র্যাশন বণ্টন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। বেশ কিছু র্যাশন দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে জিনিস কম দেওয়া, সময়ে দোকান না খোলা, নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এর জেরে সরকারের কড়া পদক্ষেপে বেশ কিছু ডিলারের লাইসেন্স বাতিল বা সাসপেন্ড হয়েছে, মামলা দায়ের করা হয়েছে খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, র্যাশনে কারচুপি ঠেকাতে ইতিমধ্যে ডিজিটাল কার্ড তৈরির কাজ চলছে। র্যাশন দোকান মালিকরা হিসাবপত্র ঠিকমতো রাখছেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।