রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে কুর্নিশ জানিয়ে কেন্দ্র বাড়ি নির্মাণের ছাড়পত্র দিল

August 24, 2020 | 2 min read

‘গাইডলাইন’ মেনে কাজে নিষ্ঠা। টাকা খরচে স্বচ্ছতা। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে এই দুই শর্ত পূরণে সফল পশ্চিমবঙ্গকে কুর্নিশ কেন্দ্রের। উচ্ছ্বসিত পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রশংসা শুধু কথায় নয়। মিলল পুনরায় বাড়ি নির্মাণের ছাড়পত্রও। রাজ্যে ৪৬টি পুরসভায় নতুন ৪৫ হাজার বাড়ি নির্মাণে তাৎক্ষণিক অনুমোদন দিয়ে নজির গড়ল কেন্দ্র। মোদি সরকারের এই সহযোগিতাকে ‘স্বচ্ছতার প্রতিদান’ হিসেবে দেখছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা। রবিবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার যে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। আমরা শীঘ্রই পুর এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, কোন কোন পুরসভায় নতুন করে বাড়ি নির্মাণের কর্মসূচি নেওয়া হবে, তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রের ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। সম্প্রতি মন্ত্রকের প্রধান সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্রের নেতৃত্বে একটি বৈঠকও হয় দিল্লিতে। সেখানে প্রতিটি রাজ্যের কাজ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। তাতে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রের ‘গাইড লাইন’ মেনে প্রকল্প রূপায়ণে একমাত্র এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষ করে প্রকল্পের সঙ্গে ‘জিওট্যাগিং’ প্রযুক্তি যুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলার ধারেকাছে নেই কোনও রাজ্য। আর এই ‘জিওট্যাগিং’ হল প্রকল্পের উপর ‘ডিজিটাল’ নজরদারির অন্যতম মাধ্যম। এতে স্বচ্ছতা মেনে কাজ হচ্ছে কি না, তা সরাসরি দেখভাল করতে পারেন প্রকল্পের আধিকারিকরা। গত বছর প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে হুগলি জেলা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজে সন্তোষ প্রকাশও করেছিল কেন্দ্রের দল।

‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্প এখানে ‘বাংলার বাড়ি’ নামে পরিচিত। মূলত, পুরসভা এলাকায় বস্তিবাসী ও গৃহহীনদের মাথার উপর ছাদ দেওয়াই মূল লক্ষ্য এই প্রকল্পের। প্রতিটি বাড়ি পিছু বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র দেয় ৪০ শতাংশ। সমপরিমাণ ভাগ রাজ্যের। বাকি ২০ শতাংশ টাকা দেয় উপভোক্তা। প্রকল্প বাস্তবায়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নজরদারি শুরু করেন। নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পুরসভা মিলিয়ে ১ লক্ষ ২১ হাজার বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করেছে রাজ্যে। ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৯৫টি বাড়ির কাজ চলছে। লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৮ লক্ষেরও বেশি বাড়ি নির্মাণের। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিটি পদক্ষেপেই কেন্দ্রের দেওয়া ‘গাইড লাইন’ যথাযথ মেনেছে রাজ্য। ওই বৈঠকে সেটা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। আর এই সুযোগকে হাতছাড়া করেননি রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা। নতুন করে ৪৫ হাজার বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই সেই আবেদন গ্রহণ করে চটজলদি অনুমোদনও দিয়ে দেন মিশ্র। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিশ্রকে রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৪৬টি পুরসভায় এই নতুন বাড়ি নির্মাণের কর্মসূচি নেবে নগরোন্নয়ন দপ্তর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Banglar Bari, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন