ফিনাইল তৈরিতে আবার রেকর্ড বেঙ্গল কেমিক্যালের
নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙল শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল কেমিক্যাল। তৈরি হল নতুন রেকর্ড। একদিনে ৫০ হাজারের বেশি বোতল ফিনাইল উৎপাদন করল তারা। ১২০ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ উৎপাদন। এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি এম চন্দ্রাইয়া কর্মীদের উৎসাহিত করতে গত ২৩ আগস্ট নিজেই উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির কারখানায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির আগে সাধারণভাবে দিনে ১৫ হাজার বোতল ফিনাইল তৈরি হতো সংস্থার পানিহাটির কারখানায়। করোনার দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ফিনাইল কেনার ধুম পড়েছে গৃহস্থবাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই খোলা বাজারে বেড়েছে চাহিদা। জুলাই মাসে একদিনে ৩৮ হাজার বোতল ফিনাইল উৎপাদন করে রেকর্ড গড়েছিল সংস্থা। তারপর এক মাস কাটতে না কাটতেই সেই রেকর্ড ভেঙে গত রবিবার ৫১ হাজার ৯৬০ বোতল ফিনাইল উৎপাদন করে তারা। একেকটি বোতলে রয়েছে সাড় চারশো মিলিলিটার ফিনাইল। সংস্থার এমডি পি এম চন্দ্রাইয়া বলেন, পুজোর ছুটির আগে পর্যন্ত সব রবিবার ও ছুটির দিনে পানিহাটির কারখানায় কাজ চলবে।
সংস্থার এক পদস্থ কর্তা জানান, ৪৫০ মিলিলিটার, পাঁচ লিটার ও ২০ লিটারে জারে পাওয়া যায় বেঙ্গল কেমিক্যালের ফিনাইল। তবে ‘সিগনেচার ব্র্যান্ড’ হল সাড়ে চারশো মিলিলিটারের বোতল। করোনা আবহে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ও জীবাণুমুক্ত করতে ফিনাইলের বিক্রি বহুগুণ বেড়েছে।
প্রাক-করোনা পর্বে মাসে প্রায় তিন লক্ষ ছোট বোতল বিক্রি হতো। সেখানে এই আগস্টে এখনও পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ছ’লক্ষ বোতল। শুধু কলকাতা সহ বাংলার বাজারই নয়, দিল্লি, চেন্নাই, নাগপুর, গুয়াহাটি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে এই ফিনাইল। ভিনরাজ্যের ক্রেতাদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে গুয়াহাটি।
ফিনাইলের ছোট বোতলের চাহিদা মূলত গৃহস্থবাড়িতে। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে চাহিদা রয়েছে পাঁচ ও কুড়ি লিটারের জারের। সেই জার বিক্রিও আগের থেকে প্রায় তিন থেকে চারগুণ বেড়ে গিয়েছে। করোনার আগে পাঁচ লিটারের জার বিক্রি হতো দেড় থেকে দু’হাজার ইউনিট। সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে আট হাজার। ওই কর্তা জানান, কলকাতা পুলিস, বিধাননগর কর্পোরেশন সহ বহু সরকারি সংস্থাই এর ক্রেতা।