মধ্যরাতের দরবার! শোভনের বাড়ি ছুটলেন অরবিন্দ মেনন
‘মধ্যরাতের দরবার’! শোভনের ‘মানভঞ্জনে’ বাড়ি ছুটলেন অরবিন্দ মেনন। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে ১১টার ঘর পেরিয়ে গিয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল অরবিন্দ মেননকে। আগেই খবর হয়ে গিয়েছিল যে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যাচ্ছেন অরবিন্দ মেনন। একদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূলে দায়িত্ব থেকে অপসারণ, অন্যদিকে সেদিনই ‘আচমকা’ অরবিন্দ মেননের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়া, দুটো ঘটনা নেহাতই কাকতালীয় নাকি এর পিছনে অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছিল জোর তরজা, বিস্তর জল্পনা। তবে কি তৃণমূলে ফিরছেন কানন? আর তা আটকাতেই অরবিন্দ মেননের শোভনের বাড়ি ছুটে যাওয়া? নানাবিধ প্রশ্নের অঙ্ক মিলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও প্রশ্নেরই অবশ্য সোজাসাপ্টা উত্তর দেননি অরবিন্দ মেনন। বরং জিইয়ে রাখেন ধোঁয়াশা।
সূত্রে খবর, সোমবার রাত ৯টা ১৮ মিনিট নাগাদ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান অরবিন্দ মেনন। তারপর প্রায় টানা আড়াই ঘণ্টার উপর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। কী নিয়ে বৈঠক? কী আলোচনা হল দু’পক্ষের মধ্যে? আড়াই ঘণ্টার উপর বৈঠক সেরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমেই অবশ্য সে প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি অরবিন্দ মেনন। সূত্রের খবর পরে তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, “খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আড়াই ঘণ্টার উপর কথা হল। খুব জলদি দেখতে পাবেন কী হতে চলেছে!”
সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে অরবিন্দ মেনন আরও জানান যে, “২২ অগাস্ট থেকে ২৬ অগাস্টের মধ্যে আলোচনার কথা ছিল। সময় দু’পক্ষের মিল ছিল না,তাই হচ্ছিল না। আজ সময় হল। তাই আজ কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় নেবেন।” অরবিন্দ মেননের এই কথাতেই ছড়িয়েছে ধোঁয়াশা। কী হতে চলেছে তবে? শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকে তবে ইঙ্গিত করলেন অরবিন্দ মেনন? সময়ের সঙ্গেই স্পষ্ট হবে সব উত্তর।