← স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান
জেনে নিন চক্ষুদানের নিয়ম কানুন
“অন্ধ জনে দেহ আলো”। আজ ২৫শে আগস্ট, মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস। চোখের কর্নিয়া দানকেই মূলত চক্ষুদান বলে। চক্ষুদানের অর্থ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সম্মতিতে মৃত ব্যক্তির কর্নিয়া এমন কাউকে দেওয়া হয় যাতে তিনি আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পান।
এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা কর্নিয়ার সমস্যার কারণে অনেকেই নিজের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কর্নিয়া উৎপাদনের একমাত্র পথ যদি কেউ তা দান করে। অর্থাৎ আপনার একটি ছোট্ট প্রয়াস কারো দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারে। প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ এই একটি প্রয়াসের অপেক্ষায় আছেন। তাঁদের জীবনেও আলো ফিরে আসতে পারে।
চক্ষুদানের নিয়ম
- মৃত্যুর ৬-৮ ঘন্টার মধ্যে চক্ষুদান করতে হয়।
- যেকোন বয়স, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে যেকেউ দাতা হতে পারেন।
- এমন কেউ যাদের ছানি বা চশমা আছে তাঁরাও চক্ষু দিতে পারেন।
- হাইপারটেনশান বা ডাইবেটিক রোগীও চক্ষুদান করতে পারেন।
- ১৫-২০ মিনিটেই চক্ষুদান সম্পন্ন হয়। দাতার কোন মুখ বিকৃতি হওয়ার সম্ভবনা নেই।
- যে কোন লিঙ্গের, যে কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ চক্ষুদান করতে পারেন।
- যে কোন ব্যক্তি জীবিত অবস্থাতেও চক্ষুদানের অনুরোধ করে রাখতে পারেন। মৃত্যুর পর আই ব্যাঙ্ক দায়িত্ব নিয়ে চক্ষুদানের ব্যবস্থা করে।
- চক্ষুদানের অনুরোধের পর অবশ্যই পরিবারকে জানিয়ে রাখা উচিত। যাতে পরিবার মৃত্যুর পর তাঁর সেই স্বদিচ্ছা পূরণ করতে পারে।