একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরে আসুন লাল ঝামেলা থেকে
জায়গার নাম শুনলে অনেকেই হয়তো বা চমকে উঠবেন কিংবা পিছপা হবেন! কিন্তু একবার যদি সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে চলে আসেন তাহলে আর ফিরে যেতে চাইবেন না! এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিছুতেই আপনাকে ছাড়বে না। টুরিস্ট স্পটটির নাম “লাল ঝামেলা বস্তি”। না, এই বস্তির সঙ্গে কোন মিল নেই মহানগরী কোন ঘিঞ্জি বস্তির। নেই কোন “ঝুট ঝামেলা-ও”।
একদিকে সবুজ চা বাগান অপরদিকে যতদূর চোখ যায় ভুটান পাহাড়। ভারত ভুটানের সীমান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডায়না নদী। এবারও শীতের মরসুমে পর্যটকদের কাছে এই লাল ঝামেলা বস্তিই ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের কথায়, জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো বা ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে বন্য প্রাণীদের বিচরণ দেখার পর অনেকেই জানতে চান ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আর কোথায় যাওয়া যায়।
অনেকেই বলে থাকেন কম খরচে কাছেপিঠে কি দেখার আছে। গরুমারা বা লাটাগুড়িতে রাত্রিবাস করার পর যদি হাতে ৩-৪ ঘণ্টা সময় থাকে তাহলে একবার ঘুরে আসতে পারেন এই লাল ঝামেলা বস্তিতে। নাগরাকাটা ব্লকের চ্যাংমারি চা বাগানের পাশেই গড়ে উঠেছে এই টুরিস্ট স্পটটি। নাগরাকাটা বাজার থেকে ১৫ কিমি এবং গরুমারা লাটাগুড়ি থেকে ৩০ কিমি দূরত্ব এই লাল ঝামেলা বস্তির।
লাটাগুড়ি বাজার থেকে ছোট গাড়ি নিয়ে মাত্র ৩০-৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাবেন এখানে। নাগরাকাটা থেকে ৩১ সি জাতীয় সড়ক ধরে বানারহাট যাওয়ার পথে রয়েছে ধরনীপুর চা বাগান।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই বস্তির নাম লাল ঝামেলা বস্তি। সত্যি কি এখানে কোন ঝামেলা হয়?
না, স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, চা বাগানের দুই আদিবাসী শ্রমিক নেতা লাল শুকরা ওরাও এবং ঝামেলা সিং এই বস্তির প্রতিষ্ঠাতা। তাদের নাম থেকেই বস্তির নাম লাল ঝামেলা বস্তি। প্রায় ৫০০ পরিবার থাকে এখানে। এলাকায় পৌঁছন মাত্রই বস্তিবাসীরাই আপনাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাবেন টুরিস্ট স্পটে।
তাহলে, আর দেরি না করে চলেই আসুন এই বস্তিতে।