করোনাজয়ীদের রক্ত নিয়েই রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ২০টি ‘প্লাজমা ব্যাঙ্ক’
এবার রাজ্যজুড়ে করোনা জয়ীদের প্লাজমা সংগ্রহ করে ‘প্লাজমা ব্যাঙ্ক’ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের ২০টি বড় সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে হবে এই প্লাজমা ব্যাঙ্ক। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ২৮ দিন পর রক্তদান করা যাবে। রোগের উপসর্গ ধরা পড়ার চারমাস পর্যন্ত রক্ত (হোল ব্লাড) দেওয়া যাবে। সেই রক্ত থেকে প্লাজমা নিষ্কাষিত হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে নির্দেশনামায়। উল্লেখ্য, কলকাতা ও লাগোয়া পাঁচটি বিসিএসইউ (মানিকতলা, পিজি, আরজিকর, ন্যাশনাল এবং কামারহাটি মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাঙ্ক) সহ ২০টি জায়গায় হচ্ছে প্লাজমা ব্যাঙ্ক।
তাতে বলা হয়েছে, এই প্লাজমা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি বা সরকার অধিগৃহীত কোভিড হাসপাতালের রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের রক্ত পরিষেবা শাখার এক কর্তা জানান, প্রথম ক্ষেত্রে প্রথমত, প্লাজমা নিষ্কাষণের জন্য করোনাজয়ীদের লিখিত সম্মতি নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্লাজমা দান সংক্রান্ত পোর্টালের তথ্য থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি সম্ভাব্য প্লাজমা দাতাদের চিহ্নিত করবে ও দানে উৎসাহিত করবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সাহায্য নেবে। তৃতীয়ত, করোনা জয়ীদের ছুটি দেওয়ার সময় হাসপাতালগুলি প্লাজমা দান সম্পর্কে তাঁদের সচেতন করবে। চতুর্থত, ব্লাড ব্যাঙ্ক, মোবাইল ক্যাম্প (বাস), রক্তদান শিবির প্রভৃতি জায়গায় করোনা জয়ীদের রক্ত প্লাজমাদানের জন্য সংগৃহীত হবে। পঞ্চমত, ৩৫০ এমএল বা ৪৫০ এমএল-এর ব্লাডব্যাগে সংগ্রহ করা যাবে সেই রক্ত। ষষ্ঠত, দানের জন্য দাতার ওজন ন্যূনতম ৪৫ কেজি বা তদূর্ধ্ব হতে হবে। ৩৮৫ এমএল-এর বেশি রক্ত সংগ্রহ করা যাবে না। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ওজন হতে হবে ন্যূনতম ৬০ কেজি এবং ৪৯৫ এমএল-এর বেশি হোল ব্লাড সংগ্রহ করা যাবে না।
সোমবার পাঁশকুড়ার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর ছেলে ও ঘনিষ্ঠ একজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনজনকেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলার নির্মল দত্ত সংক্রামিত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এনএসসিবিআই এয়ারপোর্ট থানার তিনজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন কনস্টেবল, তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁদের পরিবারের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত। থানা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।