ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ, ৩৩ লাখ পার
দু’দিন সংখ্যা কিছুটা কম থাকার পর বুধবার নতুন করে মাথাচাড়া দিল করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হলেন ৬৭ হাজার ১৫১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৫৯ জন। রাজধানী দিল্লিতেও সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। পাশাপাশি, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের পর এদিন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জে পি দাদাল। একইসঙ্গে, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈয়ের এদিন করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পাঞ্জাবের ২৩ বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে ভারতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তথা সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দু’জন ব্যক্তিকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫৮ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৬.৩০ শতাংশ। মঙ্গলবার এই হার ছিল ৭৫.৯২ শতাংশ। একদিনে আরও ১ হাজার ৫৯ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৯ হাজার ৪৪৯। তবে এদিন আর মৃত্যুহার কমেনি। বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৭ হাজার ২৬৭ জন। শতাংশের বিচারে যা ২১.৮৭। অর্থাৎ, সক্রিয় আক্রান্তের সাড়ে তিন গুণের বেশি করোনা রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
আইসিএমআরের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার দেশজুড়ে ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৯২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫১২টি। বেশ কয়েকদিন কম থাকার পর দেশের রাজধানীতে নতুন করে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। যার জেরে করোনা পরীক্ষা দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার রাজধানীতে নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৪ জন। গত ৪০ দিনে যা সর্বোচ্চ। রাজ্যবাসীকে মাস্ক পরার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা বাড়িতে পালস অক্সিমিটার এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর্স সরবরাহ করা হবে।