বড়সড় স্বস্তি, বাইক-স্কুটার,প্যাকেটবন্দি খাবারে কমতে চলেছে জিএসটি
উৎসব মরশুমের ঠিক আগে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হল, বেশ কিছু পণ্য-পরিষেবায় জিএসটি হারের পরিবর্তন। সবথেকে ইতিবাচক সম্ভাবনা হল, অটোমোবাইল সেক্টর, বিশেষত বাইক-স্কুটারের মতো টু-হুইলারে জিএসটির হার কমতে পারে। ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বণিকসভাগুলির বৈঠকে অটোমোবাইল, পর্যটন, পরিষেবা, হোটেল, বস্ত্র, রপ্তানির পণ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্যাকেজ ও ছাড় দেওয়ার আভাস দিয়েছেন। প্যাকেটজাত খাবারের জিএসটিও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। টু-হুইলারের ক্ষেত্রে এখন ২৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। কিন্তু ২৮ শতাংশ জিএসটির মধ্যে সাধারণত বিলাস-পণ্য ও পরিষেবাকে বেশি করে রাখা হয়েছে। টু-হুইলারকে এখন যে আর বিলাসদ্রব্য হিসেবে বিবেচনা করা যায় না, সেটা স্বীকার করেছে অর্থমন্ত্রক। পাশাপাশি লকডাউনের জেরে চরম সঙ্কটে পড়েছে অটোমোবাইল। তাই এই সঙ্কট থেকে কিছুটা রেহাই দিতে শেষ পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়য়টি নিয়ে শীঘ্র আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রথমে টু-হুইলার, তারপর প্রাইভেট কার ও অন্য গাড়ির ক্ষেত্রেও জিএসটি হার ধীরে ধীরে কমতে পারে।
অন্যদিকে, আজ জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ক্ষতিপূরণের ইস্যুতে ঝড় উঠতে চলেছে। কেন্দ্র বনাম রাজ্য টানাপোড়েন চরম আকার নিতে পারে। রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়াই আজ বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা। এই বৈঠকে রাজ্যগুলি সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রকে বলবে, ১) জিএসটি ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া বদল করতে হবে, ২) নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ৩) ২০২২ সালের পরও ২ থেকে ৫ বছর বাড়াতে হবে ক্ষতিপূরণ প্রদানের সময়সীমা, ৪) রাজ্যগুলি মার্কেট থেকে কোনও অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে এই অর্থসঙ্কট সামাল দেবে না। সেই ঋণ দরকার হলে কেন্দ্র নিক। অন্যদিকে মোদি সরকার আজ বৈঠকে বলার চেষ্টা করবে, অর্থনীতির মন্দার কারণে রাজস্ব ও শুল্ক আদায় কম হলে, তার ক্ষতিপূরণ রাজ্যকে দিতে কেন্দ্র বাধ্য নয়। বরং বাজার থেকে রাজ্যগুলি যাতে আরও বেশি ঋণ পায়, সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই নিয়ে প্রবল মতান্তর হতে পারে আজ। চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। বৈঠকের প্রাক্কালে বুধবারই পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছেন, সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি, কেন্দ্র কম কর আদায়ের কারণ দর্শিয়ে রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ নাও দিতে পারে বলে একটি চর্চা চলছে। জিএসটি আইন অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে অবশ্যই অঙ্গীকারবদ্ধ কেন্দ্র।