রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

জিও হাজার কোটি বিনিয়োগ করে দীঘায় তৈরি করবে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন

August 27, 2020 | 2 min read

ছবি: ফাইল চিত্র

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্যে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এবিষয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, দীঘায় একটি কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন গড়ে তোলা। এই প্রকল্পে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে রিলায়েন্স জিও। পাশাপাশি, কেন্দ্রের অপেক্ষায় না থেকে রাজ্যই তাজপুরে নতুন বন্দর তৈরি করবে বলেও ঘোষণা করেন মমতা।
উল্লেখ্য, এর আগে চেন্নাই এবং মুম্বইতে এরকম কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন হয়েছে। যা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতির পক্ষে সহায়ক হয়েছে। এবার এমনই একটি স্টেশন গড়ে উঠবে এরাজ্যেও। এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেটা প্রসেসিং সেন্টারের কাজের জন্য এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন খুবই প্রয়োজনীয়। সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাইবার সংস্থাগুলি এ থেকে উপকৃত হবে। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ হবে। মোবাইলের যন্ত্রাংশও তৈরি করা হবে। এর ফলে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।’‌ এর পাশাপাশি, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত আরও একটি সিদ্ধান্তও হয়েছে। তা হলে, শীঘ্রই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২০ তৈরি করা হবে। যা ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে, অনেকদিন ধরেই তাজপুরে নতুন বন্দর তৈরির চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। কথা ছিল, কেন্দ্র ৭৪ শতাংশ টাকা দেবে। বাকি ২৬ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হলেও অর্থবরাদ্দ করেনি। তাই এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাজপুরের বন্দরটি রাজ্য সরকারই তৈরি করবে। সহযোগী কোনও সংস্থা এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখালে, তাকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বন্দরটি তৈরি হলে, আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে। ফলে কর্মসংস্থানের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি দেউচা পাচামি এলাকায় খনি এবং রাজ্যের সিলিকন ভ্যালি প্রকল্পেও অনেক কর্মসংস্থানের আশা জাগিয়েছেন মমতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Digha, #Cable landing station, #Jio

আরো দেখুন