তুলে দেওয়া হোক সংরক্ষণ, জাতপাতের বিভেদ নেই এদেশে, কঙ্গনার দাবিতে ক্ষুব্ধ দেশবাসী
‘জাতপাতের বিভেদ নেই এদেশে। তাহলে কেন সংরক্ষণ থাকবে? এর ফলে মধ্যমেধার মানুষ বড় বড় চাকরিতে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।’ দাবি তুললেন কঙ্গনা রনৌত। টুইটারে একাধিক পোস্টে স্পষ্ট করে দিলেন এবারে নিজের অবস্থান।
একদিকে নিজের জাতের অহংকার প্রকাশ করলেন। অন্যদিকে জাতপাত আর এদেশে তেমন গুরুত্ব পায় না। তাই সংরক্ষণ তুলে দেওয়া উচিত বলে দাবি করলেন। টুইট করলেন, ‘আধুনিক ভারত জাত মানে না। ছোট শহরেও সকলে জানেন যে আইন এই বিভেদকে মেনে নেবে না। কেবল সংরক্ষণের জন্য আমাদের সংবিধান জাত নিয়ে পড়ে আছে। সংরক্ষণ দূর করা হোক। এবং এটা নিয়ে, সরাসরি কথা বলা হোক।’ আরেকটি টুইটে তিনি লিখলেন, ‘জাত কারওর পরিচয় নয়। তবে হ্যাঁ, জাতের কারণে বিশেষ গুণের অধিকারী আপনি। আমি ক্ষত্রিয় বলে আমার মধ্যে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। আমার পরিবার এভাবে ভাবে না। কিন্তু আমি এটাই মনে করি। আমার পরিচয়, আমি ভারতীয়।’
কিন্তু কঙ্গনার নাম না করেই এর কড়া জবাব দিলেন অভিনেতা রিচা চাঢঢা। তিনি খবরের কাগজের ‘পাত্র–পাত্রী চাই’ বিভাগের একটি ছবি তুলে হাইলাইট করে দেখালেন, কীভাবে সমাজে এখনও সকলে জাত নিয়ে ভাবে। জাত দিয়ে বিচার করে। আর তাই তিনি লিখলেন, ‘জাত মরেনি। সমস্ত বিজ্ঞাপন কিন্তু মূলত অভিজাত পরিবার থেকেই এসেছে। সেখানেই কী পরিমাণ জাতপাতের বিভেদ! যতক্ষণ আমরা এই বিভেদের শিকার নই, ততক্ষণ আমাদের কিছু যায় আসে না। কলেজের আগে অবধি আমিও বুঝিনি যে আমার অবস্থান কতটা সুবিধাজনক।’
অনেকেই তাঁর বক্তব্যকে নিন্দা করে লিখেছেন, ‘আপনি কি ভারতীয়দের লহয়ে লড়াই করতে চান? নাকি হিন্দুদের হয়ে?’ কেউ লিখেছেন, ‘যে মহিলা আর্মি কোটায় পড়াশোনা করেছেন, তিনি আজ একথা বলছেন?’ কেউ আবার বলছেন, ‘আচ্ছা তার মানে আপনি নীচু জাতের মানুষদের ওপরে উঠতে দেখতে চান না, তাই তো? আপনি চান না তাঁরা অডি গাড়ি চালাক অথবা আইফোন ব্যবহার করুক। আপনি সুবিধাজনক জায়গায় আছেন বলে একথা বলছেন।’
মাত্র পাঁচদিন আগে অফিসিয়ালি টুইটারে অংশগ্রহণ করেছেন কঙ্গনা। এরইমধ্যে তাঁর এইসমস্ত টুইট নিয়ে হ্যাশট্যাগ ‘বয়কট কঙ্গনা’ বনাম হ্যাশট্যাগ ‘ঝাঁসির রানি কঙ্গনা’–এর লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। যখনই তাঁর পক্ষের ট্রেন্ডটা এক নম্বরে উঠছে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেটার ছবি তুলে পোস্টও করে দিচ্ছেন। সত্যই বলেছেন লালন, ‘এ কী আজব কারখানা’।