জিসিপিএ-র ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস পালন
দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ)-এর তরফে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস পালন করা হল।
শুক্রবার মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের পারডুবি সহ বিভিন্ন এলাকায় ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস পালন করা হয়। এদিন পারডুবি বাজার সংলগ্ন পঞ্চানন ক্লাবের মাঠে দ্বৈত পতাকা উত্তোলন করে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে দিনটি পালিত হয়। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জিসিপিএর জেলা কমিটির সদস্য উমানন্দ বর্মন, পারডুবি অঞ্চল কমিটির সভাপতি সুরেশ দেবসিং, পরিমল বর্মন প্রমুখ নেতা। এই বিষয়ে জিসিপিএ-র কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য উমানন্দ বর্মন বলেন, ‘১৯৪৯ সালের ২৮ শে অগাস্ট আমরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হই। তাই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে আমরা আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করছি।’
পাশাপাশি এদিন জিসিপিএ-র তরফে ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস পালিত হল হলদিবাড়িতে। এই উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকে হলদিবাড়ি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সঙ্গে ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য সত্তারুল হক সরকার, ব্লক সম্পাদক জীবনচন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ বর্মন প্রমুখ। কার্যকরী সদস্য সত্তারুল হক সরকার জানান, এদিন হলদিবাড়ি ব্লকের ভোলারহাট , বগরিবাড়ি, আঙুলদেখা সহ হেমকুমারির জিগারসারি এলাকায় দিনটি পালন করা হয়। একইসঙ্গে বগরিবাড়ি বাজার এলাকায় অঞ্চল কমিটির একটি দলীয় কার্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
অন্যদিকে, নিশিগঞ্জ আমতলা নদীর ঘাট সংলগ্ন এলাকায় জিসিপিএ-র তরফে ভারতভুক্তি চুক্তি দিবস পালিত হয়। পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সম্পাদক তথা রাজবংশি ভাষা অ্যাকাডেমির সদস্য পরিমল বর্মন। উপস্থিত ছিলেন, জিসিপিএ-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্বপন বর্মন, ভবেন ডাকুয়া প্রমুখ ।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৮ অগাস্ট ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে কোচবিহারের মহারাজা জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদূরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি ভারত ভুক্তি চুক্তি নামে পরিচিত। সেই চুক্তি মোতাবেক ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কোচবিহার ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়।
এদিন নিশিগঞ্জে জিসিপিএ-র পতাকা উত্তোলনের পর দিনটির গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন স্থানীয় জিসিপিএ-র নেতারা। জিসিপিএ-র মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সম্পাদক পরিমল বর্মন বলেন, ‘আমরা কোচবিহারবাসীর স্বার্থে ভারতভুক্তি চুক্তি রূপায়নের দাবি করছি। কীভাবে কোচবিহার রাজ্য থেকে জেলা হল সেই প্রশ্নও দীর্ঘদিন থেকেই তুলে আসছি। ভারতভুক্তি চুক্তিতে যেসব সুযোগ সুবিধা কোচবিহারবাসীর পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গও এই ঐতিহাসিক দিনে তুলে ধরা হচ্ছে।