বিজেপির রাজনৈতিক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে: মমতা
আজ ২৮শে আগস্ট। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। অন্যান্যবার মেয়ো রোডে সমাবেশ করলেও, অতিমারীর কারণে এই বছর ভার্চুয়াল সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনলাইন হলেও ওনার বক্তৃতার ঝাঁঝ একই রকম ছিল। আজকের মঞ্চ থেকে ছাত্রছাত্রীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন তিনি। একুশের ‘বৈপ্লবিক’ লড়াইয়ে প্রথম সারিতে লড়তে বললেন জননেত্রী।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতার হুঙ্কার, অতিমারী শেষ হবেই, কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তার মতে, এখন অতিমারী চলছে। এরপর CAA, NPR, NRC চাপিয়ে দেওয়া হবে।
দিদির মতে, সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখা হয়েছে। আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম সত্য পরিবেশন কিছুটা হলেও করে। জাতীয় সংবাদমাধ্যম শুধু বিজেপির কথা শোনে। বিজেপি শুধু টাকার বিনিময়ে ভোট কেনে, তারপর মানুষের কথা ভুলে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একুশের লড়াই শুধু বাংলা নয়, সারা দেশের জন্য স্বাধীনতার লড়াই, কারণ বিজেপি সকলের মুখ বন্ধ করে রেখেছে।
মমতার অভিযোগ, দেশে চাকরির অবস্থা খুব খারাপ। কয়েক কোটি বেকার তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতেও বাংলায় বেকারত্বের হার কমেছে। “
আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমরা একটা ক্লিকের মাধ্যমে ৪৯ লক্ষ মানুষকে সামাজিক ভাতা প্রদান করেছি গতকাল,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলা দারিদ্র দূরীকরণে এক নম্বরে, ১০০দিনের কাজে এক নম্বরে। আমরা ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে ৭ লক্ষ শ্রমিককে কাজ দিয়েছি। বাংলা এগিয়ে চলে, বাংলা থেমে থাকে না। MSME-র ক্ষেত্রে ১কোটি মানুষকে চাকরী দিয়েছি। এক লক্ষ যুবককে ব্যাঙ্ক লোন দেবো ৩বছরের জন্য,” দাবি ওনার।
মমতার কথায়, কেন্দ্র ভাষণ দেওয়া ছাড়া কিছু করে না। আমাদের ৬০,০০০ কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হয়। আমাদের ৫২,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব কমে গেছে। তাও আমরা সরকারী কর্মচারীদের মাইনে দিচ্ছি ১ তারিখেই। উনি বলেন, আগামী দিনে বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। দিঘায় জিও কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করছে। দেওচা পাঁচামি কয়লা খনিতে কাজ শুরু হবে, রাজারহাটে সিলিকন ভ্যালি হাব তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে।