রাজ্য চিঠি দিলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে লোকাল চলবে
প্রস্তুতি শেষ। কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত এবং রাজ্য সরকারের অনুমতি মিললেই ১ সেপ্টেম্বর থেকে হাওড়া-শিয়ালদহ লাইনে চলবে লোকাল ট্রেন। শুক্রবার শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চালানো নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম)। সংস্থার শীর্ষ কর্তারা হাজির ছিলেন সেখানে। সেই বৈঠকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়। সংস্থার সহায়ক বাণিজ্য প্রবন্ধক ও জনসংযোগ আধিকারিক হরিনারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গোটাটাই কেন্দ্র ও রাজ্যের উপর নির্ভর করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ট্রেন চলাচলের জন্য আদর্শ আচরণবিধি তৈরি করবে। পরবর্তী সময়ে রেলমন্ত্রক তা অনুমোদন করবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
হরিনারায়ণবাবুর কথায়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেন চালানোর বার্তা পেলে শিয়ালদহ ডিভিশন প্রস্তুত। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বিধান চন্দ্রও একই সুরে বলেছেন, আমরা করোনার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কামরা স্যানিটাইজ করেছি। এই সময়ে যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব রকমের গাইডলাইন মেনে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ট্রেন চালাতে তৈরি বলে জানান বিধানবাবু। হাওড়া ডিভিশনে ইতিমধ্যেই বহু স্পেশাল ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করছে। সংস্থার এক কর্তার কথায়, শুধুমাত্র টিকিট কাটার কাজটি হচ্ছে না। রেল কর্তৃপক্ষ লোকাল চালানোর নির্দেশ দিলেই আমরা পরিষেবা চালু করে দেব।
সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গোটা দেশে ট্রেন চালানোর সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন চূড়ান্ত করে ফেলেছে। অর্থনীতির চূড়ান্ত ডামাডোলে দেশের ‘লাইফ লাইন’কে আর স্তব্ধ রাখতে চাইছে না মোদি সরকার। পাশাপাশি বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেন চালানো যেতেই পারে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের লোকাল চালানো নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু রেল সূত্রের দাবি, রাজ্য সরকারের এই মনোভাব লিখিত আকারে তাদের কাছে পৌঁছয়নি।
এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে ট্রেন স্যানিটাইজ, যাত্রীদের ভিড় সামলানো, বুকিং কাউন্টার ও মেশিন চালু রাখা সহ যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে স্টেশনে ঢোকা মাত্র যাত্রীদের অটোম্যাটিক থার্মাল স্ক্রিনিং করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি স্টেশনে ঢোকা বেরনোর পথ আরও নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন শিয়ালদহ। প্রতিদিন কয়েক লাখ যাত্রী চলাচল করে। স্বভাবতই এই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হলে বাংলায় ফের প্রাণের সঞ্চার হবে।