আচমকাই নেটিজেনদের রিয়ার প্রতি সমর্থনের ঢল
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে সরাসরি মিডিয়ায় কোনও সাক্ষাৎকার দেননি রিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু একটা পোস্ট করলেও বাদবাকি যা করেছেন সবই তাঁর আইনজীবীর পরামর্শে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এই প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন রিয়া। সুশান্তের বিষয়ে ভাঙলেন তাঁর নীরবতা। মুখ খুললেন যাবতীয় গুজবের বিরুদ্ধে।
বললেন ‘আমার বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলা হচ্ছে। একসময় আমি ও আমার পরিবার আত্মহত্যা করতেও চেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল কেউ গুলি করে আমাদের মেরে দিক। আমার মা এই দুমাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের কাছে সম্মানটাই সব। সবাই এতরকম গল্প তৈরি করছে, আমাদের পক্ষে কি সম্ভব জনে জনে বুঝিয়ে সত্যি কথাটা স্বীকার করা? লোকজন আমায় বলেছে বিষকন্যা, আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক জানি। সুশান্ত একজন নামী অভিনেতা ছিলেন। তাই বলে সকলে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন? আমি সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচার চাই, নিজের জন্যেও বিচার চাই। লোকজন আমাদের কষ্টটা বুঝতে পারবেন না। আমাদের দাগী আসামী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন এরকম করবে? আমি নির্দোষ, সেটা প্রমাণ করার অধিকার আছে কিনা এই নিয়েও কেন প্রশ্ন তোলা হবে’?
শুধু তাই নয়, রিয়া স্পষ্ট করেন বিদেশ ভ্রমণের ব্যাপারেও। তাঁর ফটোশ্যুটে সুশান্ত যেচে কীভাবে খরচা করেছিলেন সেই কথা বলেন রিয়া। অঙ্কিতা লোখন্ডের প্রসঙ্গ তুলে বললেন, ‘অঙ্কিতা সুশান্তের সঙ্গে চার বছর কোনও কথা বলত না। সুশান্তের পুরনো বাড়িতেই থাকত। ফ্ল্যাটের কাজ থাকলে ফটো পাঠিয়ে বলত এটা সারাতে হবে। আমি যদি সুশান্তের টাকাপয়সার দেখভাল করতাম তাহলে প্রথমেই অঙ্কিতার পেছনে খরচা বন্ধ করে দিতাম। একজম মেয়ে হিসেবে অঙ্কিতা বুঝল না ঠিক কতটা অপমান ও আমায় করল, কতটা আঘাত দিল’?
শুধু আমি নই, আমার কিছু বন্ধুকেও প্রতিদিন অন্তত হাজার লোক বলে ধর্ষণ করে খুন করবে। মিডিয়াতে হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাট লিক হওয়ার পর থেকেই এগুলো শুরু হয়েছে। আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আদিত্য ঠাকরেকে আমি চিনি না, আমার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ নেই। কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ নেই। সিবিআই এর উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সত্যিটা প্রকাশিত হবেই বলে আমার বিশ্বাস। রিয়া চক্রবর্তী
রিয়ার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসার পরই অনেক নেটিজেন তাঁকে ট্যুইটারে সমর্থন করতে শুরু করেন। #JusticeForRhea এখন ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং। অনেকেই লেখেন, শুধুমাত্র সুসান্তের প্রেমিকা ছিলেন বলেই রিয়াকে আমরা কালপ্রিট বানিয়ে দিচ্ছি। কারোর ব্যক্তিগত জীবনকে বিচার করার অধিকার কিন্তু আমাদের নেই। সবাই রিয়াকে গ্রেফতারের জন্য দাবি তুলছে, কিন্তু সিবিআই বা ইডি হয়তো এখনও তেমন কিছু পায়নি ওঁর থেকে। তাই গ্রেফতার করছে না।