হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগে সরব রাহুল
শুধু ফেসবুক নয়, বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত আছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষেরও। এবার আরও এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আমেরিকার ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের একটি রিপোর্ট তুলে ধরে রাহুল দাবি করেছেন, “ভারতে ৪০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এই সংস্থাটি এবার আর্থিক লেনদেনও শুরু করতে চায়। সেজন্য ওদের মোদি সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। এবং সেজন্যই হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিজেপির হাতে।” রাহুল একা নন, কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা এবং দলের তথ্য বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান প্রবীণ চক্রবর্তীও একই অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন ঘিরে ভারতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভারতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ (Facebook India) বিজেপি নেতাদের বা বিজেপি সমর্থিত সংগঠনের ঘৃণা এবং মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য এড়িয়ে যায়। এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। উদাহরণ হিসেবে টাইগার রাজা সিং-সহ একাধিক বিজেপি নেতার নাম বলা হয়েছিল, যারা নিয়মিত বিদ্বেষমূলক আচরণ করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে পুরোদমে আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) সঙ্গে ফেসবুকের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলছে তাঁরা। কংগ্রেসের (Congress) দাবি, সেই ২০১২ সাল থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে ফেসবুক ইন্ডিয়া। এবার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হল হোয়াটসঅ্যাপও। মজার কথা হল এই হোয়াটসঅ্যাপও মার্ক জুকারবার্গেরই মালিকানাধীন। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াচ্ছে কংগ্রেস।
শনিবার কংগ্রেসের তরফে মার্ক জুকারবার্গকে আরও একটি চিঠি লেখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ফেসবুক ইন্ডিয়ার কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে জুকারবার্গকে চিঠি দিয়েছিলেন বেণুগোপাল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে সংস্থা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতেই আজকের দ্বিতীয় চিঠিটি লেখা। কংগ্রেসের দাবি, ভারতে ঘৃণা ছড়ানো রুখতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা প্রকাশ্যে আনতে হবে। এবং ফেসবুক ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও জানাতে হবে।