শুভ্রাংশুই কি মুকুলের তৃণমূলে ফেরার পথ প্রশস্ত করবেন?
২০১৭ সালে সারদা মামলা থেকে এক কথায় নিজের পীঠ বাঁচাতেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন মুকুল রায়। বিজেপিতে মুকুলের তিন বছর কেটে গেলেও এখনও দলে সম্মানজনক কোনও পদ লাভ করতে পারেনি তৃণমূলের একসময়ের প্রথম সারির দাপুটে নেতা। ওনার রাজনৈতিক কেরিয়ার তলানিতে এসে ঠেকেছে।
বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে বিজেপিতে থাকলে মুকুল রায়কে খুব শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানতে হবে। শুধু দল ভাঙিয়ে এমএলএ আর এমপি কেনাই একসময়ের রেলমন্ত্রীর একমাত্র কাজে পরিণত হয়েছে। তার ওপর দিলীপ গোষ্ঠীর সাথে অন্তর্দ্বন্দ্ব তো রয়েইছে।এমতাবস্থায় মাঝে মধ্যেই জল্পনা শোনা যায় মুকুল তৃণমূলে ফিরছেন। যদিও এ বিষয়ে মুকুলের মন্তব্য উনি বিজেপিতেই আছেন।
প্রসঙ্গত, মুকুল রায় দল ছাড়ার পর প্রায় দু’বছর ওনার ছেলে শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলের সাথেই ছিলেন। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটেও তিনি ব্যারাকপুরে দীনেশ ত্রিবেদীর হয়েই প্রচার করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং জয়ী হন। তারপর শুভ্রাংশু বিজেপিতে যোগদান করেন।
কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক জীবনও সেই বিপদের মুখেই। আসন্ন বিধানসভা ভোটে জিতলেও কপালে জুটবে না বড় কোন পদ বা মন্ত্রিত্ব। এরকমই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কারণ, বিজেপি জিতলে দিলীপ বাবু মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর তিনি কখনোই চাইবেন না শত্রু শিবির মুকুল রায়ের ছেলেকে কোন বড় পদ দিতে। অর্থাৎ পেছনের সারির এমএলএ হয়েই থেকে যেতে হবে মুকুল পুত্রকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মুকুল রায় কি পুত্রমোহে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন? এই প্রশ্নকে আরো ইন্ধন যোগাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের বার্তা। যারা দল ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের দলে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন দিদি। বলেছেন দল তাঁদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেবে। এই সুযোগ কি সত্যিই কাজে লাগাবেন না মুকুল!
শোনা যায়, তিনি দলে ফিরতে শর্ত দিয়েছিলেন যে তাঁর ছেলের রাজনৈতিক জীবন সুরক্ষিত করতে হবে। সত্যিই যদি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শুভ্রাংশু রায়কে বড় কোন পদ বা মন্ত্রীত্ব দেয়, তাহলে কি আবার ঘাসফুল শিবিরেই দেখা যাবে মুকুলকে? জল্পনা তুঙ্গে।