রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়নে জোর, সর্বভারতীয় স্বীকৃতি পেল মুখ্যমন্ত্রীর নিউটাউন মডেল

August 30, 2020 | 2 min read

কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে একটি বিস্তীর্ণ জলাশয়কে ঘিরে একসময় গড়ে উঠেছিল উদ্যান। যা দেখে চমৎকৃত হননি, এমন কেউ নেই। পর্যাপ্ত বনসৃজন এবং পরিবেশের খাতিরে যে যে পদক্ষেপ করণীয়, তার কোনওটাই করতে বাকি রাখেনি একসময়ের জলাজঙ্গল এলাকা নিউটাউন। এই উদ্যোগের ফলে সর্বভারতীয় স্তরে পুরস্কার আগেও পেয়েছে এই উপনগরী। এবার আবার পেল আরও বড় আকারে। ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের রেটিংয়ে একশোর মধ্যে বিরাশি নম্বর পেয়ে প্ল্যাটিনাম স্থানাভুক্ত হয়েছে এই সরকারি টাউনশিপ।

এই উপশহরকে ভারতের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য স্থানে মেলে ধরতে সর্বদা নতুন পরিকল্পনার জন্ম দিয়েছে নিউটাউন পরিচালন কর্তৃপক্ষ হিডকো। সেই হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এই স্বীকৃতিপ্রাপ্তির খবরে স্পষ্টতই আনন্দিত। তাঁর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে ইকো পার্ক-সহ এই শহরের জন্য যা যা কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে, তা সর্বভারতীয় স্তরে স্বীকৃতি লাভ করায় আমরা উৎসাহিত।” শুক্রবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে তিনি আইজিবিসির প্ল্যাটিনাম রেটিংয়ের শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন। এদিন মন্ত্রী এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।

নিউটাউন এই পুরস্কারের যোগ্য হিসেবে নিজেকে মেলে ধরল কীভাবে? কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সবুজায়ন, পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান বজায় রাখা, একাধিক পার্ক তৈরি-সহ রেন ওয়াটার হারভেস্টিং, রুফটপ গার্ডেনে উৎসাহিত করা, ই-প্রযুক্তিনির্ভর যানবাহন চলাচলে জোর, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলইডি-সহ একাধিক ব্যবস্থা সুচারুভাবে গড়ে তোলার ফলে গোল্ড থেকে প্ল্যাটিনাম স্তরে উন্নীত হওয়া সম্ভব হয়েছে।

এরই পাশাপাশি থাকছে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় এবং অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তাভাবনাও। সাইকেল ব্যবহারের জন্য নাগরিকদের জোর দেওয়া হয়েছে। এতে নিউটাউনে দূষণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ করে এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলে শহরকে সাফসুতরো রাখার নিরন্তর প্রচেষ্টা চলে। নিকাশির জলকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে রাস্তা ধোয়া, উদ্যান পরিচর্যার মতো কাজে ব্যবহার করে অপচয় রোধ করা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#New Town.

আরো দেখুন