কমলার চেয়ে ইভাঙ্কা অনেক বেশি যোগ্য- ডোনাল্ড ট্রাম্পের
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস নয়, প্রথম মহিলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়ে -কেই দেখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক প্রচারসভায় ট্রাম্প স্পষ্টই বলেন, কমলার চেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে ইভাঙ্কা অনেক বেশি যোগ্য।
এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হননি কমলা হ্যারিস। তাঁর লড়াই মাইক পেন্সের সঙ্গে। কিন্তু এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্প বনাম কমলা হ্যারিস। প্রথমত, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় আমেরিকার বর্তমান পরিস্থিতি প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বিডেনের চেয়েও ট্রাম্পের কাছে কমলা অনেক বেশি বিপজ্জনক। দ্বিতীয়ত, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা সাধারণভাবে আগামী দিনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসেন। সেই নিরিখে কমলা ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই কমলা হ্যারিসকেই নিশানা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাঁর সাফ কথা কমলা নয়, আগামীদিনে দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়ে ইভাঙ্কাকেই দেখতে চাইছেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। তাঁর ডেপুটি পদে লড়াইয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। এর আগে দলের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড়ে ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করার পর শুক্রবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকানদের এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেনের থেকে কমলাকেই বেশি আক্রমণ করেন ট্রাম্প। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, মহিলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা একেবারেই অযোগ্য। তার তুলনায় ইভাঙ্কা এই পদের জন্য অনেক বেশি যোগ্য।
এদিন কমলাকে নিশানা করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমিও একজন মহিলাকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে দেখতে চাই। কিন্তু যেভাবে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্সিয়াল পদ পাওয়ার জন্য এগচ্ছিলেন, সেটা সঠিক ছিল না। উনি একেবারেই এই পদের যোগ্য নন।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরই সেই সভায় উপস্থিত অনেকে ইভাঙ্কার নামে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা বলেন, আমরা ইভাঙ্কাকে চাই। তা শুনে ট্রাম্প বলেন, ‘এখানেও অনেকে বলছেন, আমরা ইভাঙ্কাকে চাই। আমি তাঁদের কোনও দোষ দিচ্ছি না।’
গতবছর ডেমোক্র্যাটদের তরফে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর তালিকায় জো বিডেনের সঙ্গে কমলা হ্যারিসেরও নাম ছিল। কিন্তু, দলের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও সমর্থনে ভাটা পড়ায় পিছিয়ে আসেন তিনি। যদিও পরে তাঁকেই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বিডেন। এদিন কমলাকে নিশানা করতে সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘ওঁর সম্পর্কে কী বলব? উনি সুন্দরী? সত্যিই তিনি খুব সুন্দরী। ওরা (ডেমোক্র্যাটরা) কমলাকে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল। তিনি দারুণভাবে প্রচারও শুরু করেছিলেন। বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন। কিন্তু কয়েকমাসের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও সমর্থনের নিরিখে তালিকায় নীচে নামতে থাকেন কমলা। তারপরই তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। বলেন, আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। উনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন, কারণ তাঁকে কেউ সমর্থন করছিল না। উনি অসহ্য। এরকম একজন কি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন? আমার তা মনে হয় না।’