বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে গণ ই-মেল
বিতর্ক পিছুই ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের । আশ্রম পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত, গণরোষে পাঁচিল ভাঙা, পালটা বিশ্বভারতীর বিবৃতি দিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তারপর বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই বহিরাগত বলে উপাচার্যের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের পারদ চড়েই যাচ্ছে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মন্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন আখ্যা দিয়ে এবার তাঁর অপসারণের দাবি তুলল জাতীয় বাংলা সম্মেলন। সংগঠনের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গণ ই-মেল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়ে সাম্প্রতিক অশান্তির আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে উপাচার্যের একটি বিতর্কিত মন্তব্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মন্তব্য ছিল, ”গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি যদি এই অঞ্চল পছন্দ না করতেন, বিশ্বভারতী এখানে বিকশিত হত না। এছাড়াও তাঁর সহকর্মীরা, যাঁরা বিশ্বভারতীকে জ্ঞান-সৃষ্টি এবং বিস্তারের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিলেন, তাঁরা সকলে বোলপুরের বাইরে থেকে এসে ছিলেন।” এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দায় মুখর হন আশ্রমিক এবং শিক্ষামহলের বিশিষ্টরা। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। তিনি বলেন, ”রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জায়গার সৃষ্টিকর্তা আর তাঁকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে! কীভাবে উপাচার্য তাঁকে বহিরাগত বলতে পারেন? তাহলে এই এলাকার লোক কে?”
সেই মন্তব্য এবং বিশ্বভারতীতে অচলায়তন সৃষ্টির জন্য উপাচার্যকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর অপসারণের দাবি তীব্র করেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন নামে এই সংগঠন। রবীন্দ্রনাথকে ‘বহিরাগত’ আখ্যা দেওয়া গোটা দেশের বাঙালি সমাজের ভাবাবেগে আঘাত করার শামিল বলে দাবি সংগঠনের। সেই সঙ্গে আগামী সময়ে শান্তিনিকেতনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন।